রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উত্তরা জোনাল অফিস বন্ধ ও স্থানান্তরের প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল এগারটায় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরস্থ রাজউক (এস্টেট ও ভূমি-২) জোনাল অফিসের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় উত্তরা-টঙ্গীসহ আশপাশের বিভিন্ন সেক্টরের বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিন দিনের মধ্যে উত্তরা থেকে রাজউকের জোনাল অফিস সরিয়ে নেয়ার আদেশ গ্রাহকদের সাথে হঠকারীতা ছাড়া আর কিছুই নয়। উত্তরা থেকে রাজউকের জোনাল অফিস সরিয়ে নিলে হাজার হাজার প্লট মালিক ও লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, রাজউকের সেবাগুলো আমরা দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরার জোনাল অফিস থেকে পেয়ে আসছি। এই উত্তরায় রাজউকের হাজারো সেবাগ্রহীতা রয়েছে। এখন যদি রাজউকের এই সেবা অফিস উত্তরা থেকে সরিয়ে মতিঝিলে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে উত্তরার বিশাল জনগোষ্ঠীকে হয়রানির শিকার হতে হবে। বিশেষ করে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাত্রাপথে যানজট ও ট্রাফিক জ্যামে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে বলে জানান তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা চান মিয়া বলেন, রাজউকের উত্তরা জোনাল অফিস সরিয়ে নিলে সেবার জন্য আমাদেরকে মতিঝিল যেতে হবে। অনেক বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিক বৃদ্ধ হওয়ায় তারা ঢাকার যানজট পেরিয়ে কিভাবে মতিঝিল গিয়ে রাজউকের সেবা নিবে? এই বিষয়গুলো অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে ভাবা উচিত। অন্যথায় আমরা রাজউক কর্তৃপক্ষের এই হটকারি আদেশ মানিনা।
তুরাগের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, এই জোনাল অফিসের অধীনে আমরা উত্তরা ৩য় প্রকল্পের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত সেবাগ্রহীতা পরিবার রয়েছি। রাজউকের কাজকর্ম এখান থেকে সরিয়ে নিলে আমরা তুরাগের বিশাল জনগোষ্ঠী একটা হয়রানির মধ্যে পড়ে যাব। তাই এলাকাবাসীর সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের উচিত রাজউক উত্তরা অফিস স্থানান্তর আদেশ প্রত্যাহার করা। অন্যথায় এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজউকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও ছাড়া আমাদের কোন উপায় থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১২ জানুয়ারি, ২০২৫) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালক (প্রশাসন) এ বি এম এহছানুল মামুন স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রাজউক উত্তরা জোনাল অফিস (এস্টেট ও ভূমি-২) এর সব ধরণের কার্যক্রম উত্তরা থেকে সরিয়ে রাজউক প্রধান ভবনে স্থানান্তরের আদেশ জারি করা হয়। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেয় এলাকাবাসী। পরে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত এক স্মারকলিপি উত্তরা জোনাল অফিসের উপ-পরিচালকের কাছে জমা দেন বাসিন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :