ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির আত্মপ্রকাশ

চেয়ারম্যান একরামুল-মহাসচিব আজাদ

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

চেয়ারম্যান একরামুল-মহাসচিব আজাদ

জুলাই বিপ্লবের রক্তঋণ শোধ করবার অদম্য আগ্রহ, সুস্থধারার রাজনীতি ও সত্যের প্রতি অবিচল-নিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে আজ ২৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের বড় হলরুমে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতার চেতনা, কার্যকর গণতন্ত্র ও ধর্মীয় মূল্যবোধসহ চারটি মূলনীতিকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের প্রয়াসে অনুষ্ঠানে ৩১ সদস্য বিশিস্ট একটি কমিটিও ঘোষণা করা হয়।

প্রকৌশলী ইকরামুল খানের সভাপতিত্বে ও অনামিকা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার রিটের পিটিশনার ও সেই সময়ে কোটা সংস্কারের পক্ষে শতাধিক রিপোর্ট করে আলোচিত ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম তামিজী, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণআজাদী লীগের চেয়ারম্যার আতাউর রহমান খান, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইসরাফিল খান, ঢাবি এলামনাই ্সোসিয়েশনের সদস্য সমাজকর্মী নাসির উদ্দিন মুন্সি ও নারী নেত্রী মনোয়ারা আক্তার মানু প্রমুখ।

বক্তাগণ বলেন, সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া, অনুভূতি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অর্থ্যাৎ গণ চেতনার ফসলই হচ্ছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি। বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি একটি আশা, একটি বিশ্বাস। জনকল্যাণে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই যার মূল লক্ষ্য, যা কিনা সাধারণ মানুষের রাজনীতি হিসাবে বিবেচিত হবে। তাই গণমানুষের সামগ্রিক ভাবনার ফসল বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।

তারা বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে কেউ করছেন-নির্ভেজাল মিথ্যাচার, আবার কারো ব্যস্ততা আধিপত্য প্রতিষ্ঠায়। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বক্তব্যে যা উচ্চারিত হয়, তার প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক মঞ্চে আস্থাহীনতা এক প্রকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির আত্মপ্রকাশ গণমানুষের মনে এক প্রকারের সঠিক ও সৎ রাজনীতির আবহ এবং কার্যকর গণতন্ত্রের প্রতি উৎসাহ যোগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে কন্ঠভোটে প্রকৌশলী ইকরামুল খান চেয়ারম্যান ও আবুল কালাম আজাদ মহাসচিব নির্বাচিত হন।তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ইসরাফিল খান, নির্বাহী চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে আলোচিত সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, মানবাধিকারকর্মী আবদুল মান্নান চৌধুরী, ড. আমিন খানের নাম প্রস্তাব করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।পরে মহাসচিব কমিটির অন্যান্যদের নামের ঘোষণা দেন। ভাইস চেয়ারম্যান হন মনোয়ারা আক্তার মানু, যুগ্ম মহাসচিব মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ খান ও হারুনুর রশীদ, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাজী শামসুল ইসলাম রঞ্জন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মুন্সি, সদস্য এম এ রহিম খান ও সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হন এইচ এম রাকিব। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!