"জুলাই-এর প্রেরণা দিতে হবে ঘোষণা" এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষণাপত্র ১১ জানুয়ারি শনিবার রাতে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।
ঘোষণাপত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইকরামুল হক আবির, রেজাউল ইসলাম, ইফাদ জাহান, মিনহাজ, শাকিল সহ নাগরিক কমিটি ও ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীগণ।
ঘোষণাপত্রে দাবী সমুহের মধ্যে রয়েছে (১) জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে। (২) ঘোষণাপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। (৩) অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। (৪) ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে। (৫) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। (৬) নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রদান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। (৭) জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না। বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :