টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ৫ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি ও মাওলানা সাদকে আসার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবিতে সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে গাজীপুর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন সাদপন্থিরা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জিএমপির সদর দপ্তরের সামনে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
ধর্মঘট চলাকালে বক্তারা বলেন, জুলাই ২৪ বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের মতো একজন বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে।
দীর্ঘদিন থেকে আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করছি যে, তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের ভেতরে একটা সুস্পষ্ট বিভেদ দেখা যাচ্ছে এবং এর ফলশ্রুতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
তাবলিগের অপরপক্ষ প্রতি বছর তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে জোড় ও ইজতেমা করার সুযোগ পাচ্ছে। এই বছরও তারা টঙ্গীর ময়দানে তাদের সব মুরুব্বিদের (ভারত ও পাকিস্তান) নিয়ে পাঁচ দিনের জোড় করেছে। ন্যায্যতা ও ইনসাফের দাবি অনুসারে আমরা মাওলানা সাদসহ সর্বোচ্চ মুরুব্বিকে বাংলাদেশে এনে ২০-২৪ ডিসেম্বর ৫ দিনের জোড় করার দাবি জানাচ্ছি। ন্যায্যতা ও ইনসাফ হিসেবে এ ব্যাপারটি নিয়ে আর কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ দেখতে চাই না।
আমরা বৈষম্য দূরীকরণ, দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, আগামী মঙ্গলবার সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
আপনার মতামত লিখুন :