টানা ৪ দিন ধরে লালমনিরহাটে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলা। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি মতো ঝড়ছে শীতের শিশির।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাট সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৪ দিন ধরেই লালমনিরহাটে দেখা মিলছে না সূর্যের, এতে কয়েক দিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। অন্যদিকে, আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা চলবলা ইউনিয়নে দুহুলী স্কুলের শিক্ষক আবু তাহের (৩৮) বলেন, আজকে কুয়াশার সাথে ঠান্ডা অনেকটাই বেশি পড়েছে। বর্তমানে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা ব্যাপক হারে কমতে থাকে। ফলে দিন ও রাতে সমান শীত অনুভূত হয়।
কাকিনা ইউনিয়নের চরের কৃষকজামাল হোসেন (৫২) বলেন, ঠান্ডায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ও রাতে একই পরিমাণ শীতের তীব্রতায় কষ্ট হচ্ছে। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেছি কিন্তু ঠান্ডা কারণে কাজে যেতে পারছি না।
একই এলাকার ভ্যান চালক সামাদ মিয়া (৪০) জানান, কষ্ট হলেও নিজের জীবিকার তাগিদে ভোরেই ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে। আজ আগের থেকে অনেকটা বেশি ঠান্ডা পড়েছে। এত বেশি ঠান্ডায় ভ্যানে চড়তে চায় না লোকজন। তবুও বের হয়েছি।
রংপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
আপনার মতামত লিখুন :