লালমনিরহাটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না । ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলা। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আজ সকালে লালমনিরহাট সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ৪ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৪ দিন ধরে সূর্যের দেখা না পাওয়ায়, কয়েক দিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের দাপট একটু বেশি শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার কারনে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। গতকয়েক দিন থেকে সকাল সন্ধ্যা সমানতালে ঝির ঝির বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডার দাপট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা। কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। বিশেষ করে দাপুটে শীতে বেশি কষ্টে রয়েছেন তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ও অপ্রতুল বলছেন শীতার্ত মানুষেরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা চলবলা ইউনিয়নে দুহুলী স্কুলের শিক্ষক আবু তাহের (৩৮) বলেন, আজকে কুয়াশার সাথে ঠান্ডা অনেকটাই বেশি পড়েছে। বর্তমানে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা ব্যাপক হারে কমতে থাকে। ফলে দিন ও রাতে সমান শীত অনুভূত হয়।
কাকিনা এলাকার কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীত একটু বেশি অনুভব হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো এলাকা, বেশ কিছু দিন সূর্যের দেখা মিলছে না। কনকনে শীতে আমাদের কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজার রহমান জানান, শনিবার সকালে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সারাদিনও সূর্যের দেখা না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমফা বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ পরিচালিত হচ্ছে। তিস্তা চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে তিস্তার চরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ।
আপনার মতামত লিখুন :