ঢাকা সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

আব্দুস সাত্তার,দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ ক্রয় সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ।

রবিবার সকাল ১১ টার দিকে দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন এর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম এই ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন।

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম  সম্প্রতি সময়ে দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ টেন্ডার দিয়ে ক্রয় করেছেন যা সরকারি বিধিবদ্ধ নয় এবং প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষনার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত সরকারি ফি সহ বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন।


দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে  ইনফোর্সমেন্ট টিম দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মালামাল ক্রয় ও ছাত্রছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত অর্থ আত্ম সাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের শুরুতে দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাসুদ রানার কক্ষে যাই। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টে যাই এবং সেখানে একটি মেটাট্রনিক ইন্টিগ্রেশন ট্রেনিং যন্ত্র টেন্ডার এ উল্লেখ আছে মেইড ইন চায়না কিন্তু সেই যন্ত্রটি তারা মেড ইন বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। এবং যন্ত্রটিও অচল ।ফেব্রিক ইনস্পেকশন মেশিন এ যন্ত্রটি কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া এবং এই যন্ত্রটির কোন উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। বা এই যন্ত্রটি কেনার কোন উপযুক্ত প্রমাণ তারা দেখাতে পারে নাই। ডিজিটাল ইন্টারটেকি বোর্ড এ যন্ত্রটি চারটি কেনার কথা। এই চারটি যন্ত্র কেনার কথা ৩২ লাখ টাকা দিয়ে এ যন্ত্র গুলোর টেন্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাওয়া হয়েছে। প্রথম ভাবে এখানেও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। তিনি আরো বলেন ,২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন।  প্রায় তিন কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!