ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫

কুয়াশায় ঘেরা মৌলভীবাজারে রোদের দেখা নেই

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

কুয়াশায় ঘেরা মৌলভীবাজারে রোদের দেখা নেই

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

দুপুর গড়িয়ে হলেও চায়ের দেশ মৌলভীবাজারের আকাশে মিলেনি রোদের দেখা।  

মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে  আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেনি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও রোদ উঠেনি। চারদিক যেনো কুয়াশার চাদরে মোড়া। দুপুর ১ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চারদিক ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সাথে ছিল ঠান্ডা হাওয়া। মৌলভীবাজারের আকাশে সূর্যের দেখা নেই। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। শীতের এমন তীব্রতায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। সকাল থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। বেলা বাড়ার সাথে কুয়াশা কিছুটা কমেনি, মিলেনি রোদের দেখা। এতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দীনমজুর আর চা বাগান এলাকার মানুষ।


আবহাওয়া কার্যালয়ে সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।


জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক নয়ণ কুর্মি বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই।  কিন্তু সরকারিভাবে এখনো গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।


শ্রীমঙ্গল উপজেলার লেবার আব্দুস সামাদ বলেন, জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে কুয়াশার। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ৮ জানুয়ারি দুপুর ১টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪  ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি প্রচুর কুয়াশা রয়েছে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!