ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

আসাদুলের দুটি কিডনিই অকেজো, সাহায্যের আবেদন

আরিফুল ইসলাম, নাটোর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

আসাদুলের দুটি কিডনিই অকেজো, সাহায্যের আবেদন

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

আমার চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। রাতে ঘুমাতে পারিনা। আগে ওষুধ খেয়ে চলাফেরা করতে পারতাম। এখন আর ওষুধ  কাজ করছে না। আমিও আরো দশজনের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে চাই। সুস্থ হয়ে বাঁচতে চাই। আসাদুল ইসলামের দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। অর্থের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে পারছেন না তিনি। সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিন। এমনি আকুতি জানিয়েছেন নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল সোবহান ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম । তিনি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। আসাদুল এবার নাটোরে দিঘাপতিয়া এমকে কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাশ করেছে।


২০০৯ সালে তার কিডনি জটিলতা ধরা‌ পড়ে। তখন থেকেই তার পরিবার চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন। ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে সবকিছু হারিয়েছেন পরিবার। এখন তার চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছেন না পরিবার। 


চিকিৎসক বলেছেন, দ্রুত আসাদুলের কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ভারতে কিডনি অপারেশন করাতে চান আসাদুল। এ জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। তার পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব না। 


আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার বাবা চা বিক্রি করে ৭জনের সদস্যর সংসার চালান।ডাক্তার বলেছে আমার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জীবনের সব চেষ্টা যেন বৃথা হয়ে গেল।


এলাকার বাসী ও ইউপি সদস্য মোঃমজিবর রহমান মজি বলেন, আমাদের এলাকার এ ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সমাজের ব্যক্তিবানদের কাছে আমার আহ্বান  আপনারা আপনাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসাদুলের পাশে দাঁড়ান এবং তাকে বাঁচার সুযোগ করে দেন।


আসাদুলের বড় ভাই মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমার ভাইকে চিকিৎসা করতে করতে আমরা এখন নিস্ব । চা বিক্রি করে যে টাকা হয় সেটা দিয়ে আসাদুলের ঔষধ, আমাদের পরিবারের খাবার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে এর মধ্যে উন্নতি চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ভারতে নিয়ে যেতে বলেছেন অনেক  টাকা প্রয়োজন । তাই  আপনাদের কাছে আমাদের  নিবেদন অর্থ দিয়ে আমার ভাইটা পাশে দাঁড়ান আমরা ভাইটা  উন্নত চিকিৎসা করতে পারি।


পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কলিম উদ্দিন কলি বলেন, আসাদুল জন্মের পর থেকে বিভিন্ন  রোগে অসুস্থ কয়েক বছর আগে আবার কিডনির সমস্যা হয়েছে তার চিকিৎসা করতে করতে তার পরিবার নিঃস্ব। তাই আসাদুল কে সাহায্য করে সু সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করে দেন এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়ান এটাই সমাজের সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে আমার আহ্বান। 


আসাদুল ইসলাম আরও বলেন, স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবো। সংসারের হাল ধরবো। কিন্তু জীবনে চলে আসল মরণব্যাধি ডায়ালাইসিস—  যা আর শেষ হল না। শেষ হল একটা জীবনের স্বপ্ন এবং সর্বস্বান্ত হল আমার পরিবার। এখন আমি পরিবারের নিকৃষ্ট সদস্য। আমার জন্য আমার পরিবার এখন ধ্বংসের পথে প্রায়।


পরিবার স্বপ্ন দেখত আমি পরিবারের হাল ধরব। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে কিডনি জটিলতায় আমার ও পরিবারের স্বপ্ন এখন মৃত প্রায়। আমিও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। অসুস্থতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেকের উৎসাহে আমার বাঁচার স্বপ্নটা অনেক বড় হয়ে গেছে। সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই। এই মুহূর্তে ২০ লাখ টাকা জোগাড় করা আমার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সহযোগিতা করুন।


আসাদুলের বাবা আব্দুল সোবহান বলেন, চিকিৎসক আসাদুলকে বিদেশে চিকিৎসা করতে বলেছেন ।বাবা হয়েও ছেলের জন্য কিছুই করতে পারছি না। নিজেকে খুব অসহায় লাগে। এতো টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। সবার কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।


আসাদুলে সঙ্গে কথা বলতে ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে নিম্নোক্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন।


মোঃ আসাদুল ইসলাম ০১৭৬৪২৭৭৯০৯ (মোবাইল) ৪৯০৭২০১০০০০৬৫ সোনালী ব্যাংক, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড শাখা নাটোর। নগদ/বিকাশ-০১৭৬৪২৭৭৯০৯(নিজের)
 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!