প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিগত নির্বাচনী কার্যক্রমে ১৭ বছর নিরপেক্ষতার অভাব ছিল। অফিসাররা কাজ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চাপের মুখে পড়তেন। যদি এই সুবিধা (ফেবার) না দেওয়া হতো, তাহলে তাদের চাকরি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হতো। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন কেউ ফেবার করতে গেলে বরং সমস্যা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজার বেঙ্গল কনভেনশন হল রুমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিবিটিইপি) প্রকল্পের আয়োজিত ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কোনো ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। আমাদের লক্ষ্য কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীকে ভোটে জয়ী করা কিংবা কাউকে হারানোর উদ্দেশ্যে কাজ করা নয়। আমরা সেই ধরনের কাজে নিযুক্ত হইনি। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই নির্বাচিত হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।"
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভোটার নিবন্ধনের জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। যারা ভোটারদের বাড়িতে যাবেন, তারা তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেবেন এবার আর আগের মতো ভোট হবে না।
সিলেট অঞ্চলনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে, এম, আলী নেওয়াজ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ মঈন উদ্দীন খান, উপপ্রধান (উপসচিব) ও প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথ ভাবে সঞ্চালনা করেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ এমদাদুল হক ও সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বর্ণালী চক্রবর্ত্তী।
আপনার মতামত লিখুন :