দিনাজপুরে প্রথমবারের মতো বিদেশি লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। অপরূপ সৌন্দর্য, নজরকাড়া রং এর কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদার শীর্ষে লিলিয়াম ফুল। দেখে মনে হয় শিল্পী রংতুলি দিয়ে ফুলের গায়ে চিত্রাঙ্কন করেছেন। দেশে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় শীতপ্রধান দেশ নেদারল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয় এ ফুল। সম্প্রতি এই ফুলের বিস্তার ঘটেছে বাংলাদেশে। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে দিনাজপুর সদর উপজেলায় চেহেলগাজী ইউনিয়নে লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ফুলের বাগানটি দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলোতে সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি, লাল ও বেগুনি রঙের লিলিয়াম ফুল দেখা যায়। লিলিয়াম ফুলের বর্ণচ্ছটা অনেকটা চিত্রের মতো। দেখে মনে হয় কোনো শিল্পী রংতুলি দিয়ে ফুলের গায়ে চিত্রাঙ্কন করেছেন।
সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি, লাল ও বেগুনি বর্ণের লিলিয়াম ফুল দেখা যায়। এ জাতের ফুলে ছয়টি পাঁপড়ি থাকে, যা বেশ প্রসারিত হয়। বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাল তীর সিড লিমিটেডের সহায়তায় দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কৃষক গোলাম মোস্তফা এবার লিলিয়ামের ১০০ টি কন্দ রোপণ করেন। নেদারল্যান্ডস থেকে নিয়ে আসা বীজ চাষ করে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ দিনেই ফুল আসে বাগানে।
সোমবার ২৩ ডিসেম্বর সকাল দশটায় দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নে নশীপুর বিএডিসি বীজ বিপণন কেন্দ্রের মিলনায়তন ভবনে লাল তীর সিড লিমিটেডের আয়োজনে লিলিয়াম ফুল চাষে মাঠ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাল তীর লিমিটেডের রংপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান। লাল তীর সীড লিমিটেডের দিনাজপুর রিজোনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর পিডিএস মোঃ হামিদ আলী,জুনিয়র অফিসার মো: মাহফুজ ইসলাম।
ফুলচাষি গোলাম মোস্তফা (৫৬) বলেন‘আমি দীর্ঘদিন ধরেই ফুলের চাষ করি। কিন্তু এ ধরনের ফুল এর আগে কখনো পাইনি। ফুলটি দেখে খুবই পছন্দ হয়েছে। এবার প্রথমবার করেছি তবে ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এই ফুলের চাষ করব। এবার একটি গাছে পাঁচ থেকে ছয়টি ফুল পেয়েছি।
লাল তীর সীড লিমিটেডের রংপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘বর্ণ-বৈচিত্র্য ও সুগন্ধের কারণে বাংলাদেশে লিলিয়াম ফুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। নেদারল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয় এ ফুল। দিনাজপুর সদরে এবারই প্রথমবার এ ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। আমরা বাণিজ্যিকভাবে এ ফুল চাষে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কৃষকদের বিনা মূল্যে কন্দ সরবরাহ করছি। লাগানোর মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যেই ফুল হয়। প্রতিটি স্টিক কৃষকেরা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকেরা ব্যাপক হারে চাষ করলে বেশি লাভবান হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :