মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খালেদ আহমদ এর অত্যাচারে ঘুম হারাম অত্র এলাকার সাধারন মানুষের।
মেম্বার খালেদের উপর অভিযোগ রয়েছে,জায়গা দখল অন্যের পরিবারে ইন্দন দিয়ে পরিবার নষ্ট করা, ইউনিয়ন পরিষদের চাল বন্টনে অনিয়ম, শালিশ বিচারে টাকার বিনিময় অন্যায়ের পক্ষে কথা বলা সহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজের টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে।
সূত্রে জানাযায়, মেম্বার খালেদ আহমদ প্রথমে আওয়ামী লীগের সৈয়দ মহসিন আলীর বাসায় আসা যাওয়া করতো,এবং আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতার ডাকে সারা দিয়ে অবৈধ কাজ করতো। বেশ কিছুদিন যাবার পর মেম্বার খালেদ আহমদ বিভিন্ন নেতা কর্মীর অবৈধ লাইন ঘাট পেয়ে যায়। হয়েউঠে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। গড়ে তুলেন খালেদ বাহিনী। সেই বাহিনী নিয়ে যোগদেন জেলা আওয়মীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের দলে।
আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ভোট সেন্টার জোরপুর্বক দখল করে হয়ে যান বিনা ভোটের মেম্বার। মেম্বার হবার পর থেকে খালেদ বাহিনী দেখাশুনার দ্বায়িতে আসে তার দুই ভাই সাহেদ আহমদ ও রাশেদ আহমদ।শুরু হয় খালেদের দুঃশাসন। খালেদের কথা কেউ না মানলে সে পাঠিয়ে দেয় তার ভাইদের,তার ভাই সন্ত্রাসী নিয়ে মারধর করে খালেদের কথা মানায়।
৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার বলেন, খালেদ ও তার ভাইদের অত্যাচারে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।খালেদ ইউনিয়নে বিভিন্ন কাজ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন এর সহযোগীতায় পেতো। কামাল হোসেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চুন্নুকে বলে দিতেন ইউনিয়ন পরিষদের যে কোন কাজ আসলে আগে খালেদ কে দিয়ে যদি থাকে তাহলে অন্য কাউকে দিবে। খালেদ সেই সুযোগে কাজ নিয়ে কাজ না করিয়ে টাকা উত্তোলন করতেন এবং কিছু কাজে হেরফের করতেন। এই সব কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে খালেদ বাহিনী দিয়ে মারধর করতেন এমকি মামলায়ও জড়াতেন।
এই সব বিষয় নিয়ে একাধিক বার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সাথে বসলে চেয়ারম্যান বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন, খালেদ যা করেছে সব ঠিক আছে।চেয়ারম্যান খালেদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের ভাগ পায়। কারন চেয়ারম্যান নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে জোরপূর্বক তার প্রতি পক্ষ শামিম আহমদের বিজয়ী কেড়ে নেয়। তাকে সহযোগীতা করেন খালেদ বাহিনী। এই নির্বাচন নিয়ে মৌলভীবাজার সদর কোর্টে মামলা চলমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন এলাকাবাসী বলেন, আমাদের অনেক জায়গা আছে শাওইজুড়ি হাওরে, আমরা গ্রামের মানুষ আমরা ধানক্ষেত করি।এই হাওর থেকে ধান কেটে আনার এক মাত্র রাস্তা হলো কেনেলের পাড়,আর সেখানে খালেদ ও তার ভাইয়েরা অবৈধ ভাবে ঘর বানিয়ে রেখেছে বিষয়টি আমরা গ্রামের কয়েজন বহুবার মেম্বার খালেদ কে জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের কে বলে এই টা তার জায়গা সে তার জায়গায় ঘর বানিয়েছে এতে কার কি আসে যায়।
জানতে চাইলে খালেদের ভাই বলেন, এই হাওর থেকে ধান নিতে হলে আমাদের একটা অংশ দিতে হবে। যেখানে খালেদ ঘর বানিয়েছে সে টা সম্পূর্ণ সরকারি জায়গার উপর।
সূত্র বলছে,এই ঘরে খালেদ টাকার বিনিময়ে ওয়ান টেন জোয়ার আসর বসায়, ইউনিয়নের চালের বস্তা রাখা হয়, মাঝে মধ্যে খালেদের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার হয়। ভারতের অবৈধ চিনি এবং সার রাখা হয়।বর্তমানে এলাকা বাসী বলছেন আওয়ামী সরকার পতনের পর কিভাবে খালেদ এখনো বহাল তবিয়েতে আছে,প্রশাসন কেনো খালেদ এবং তার ভাইদের ও তাদের বাহিনী ধরছেনা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার খালেদ আহমদের সাথে একাধিকবার তার ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল মোবাইল ফোনে কল করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি সরজমিনে দেখতে গেলে সেখানে খালেদের বড় ভাই সায়েদ আহমদ কালভাটে কয়েজন সন্ত্রাসী নিয়ে ঘর পাহারা দিচ্ছে। এবং তাকে ঘরের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমার ভাই খালেদ মেম্বার ঘর বানিয়েছে,এইটা আমাদের জায়গা।
কোন সময় ঘর বানিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলী ক্ষমতায় আসার পর। দল কি করেন জানতে চাইলে বলেন আমরা আওয়ামীলীগ করি। মৃত্যুর আগমুহুতেও বলব জয় বাংলা।
এবিষয়ে, এলাকাবাসীর পক্ষে গৌসুল আজম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী বলেন,গৌসুল আজম নামে একজন অভিযোগ পত্র নিয়ে এসেছিল আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এসিল্যান্ড বরাবর পাঠিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :