ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চা উৎপাদন গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে -টি বোর্ডের চেয়ারম্যান

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম

চা উৎপাদন গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে -টি বোর্ডের চেয়ারম্যান

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন (এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি) বলেছেন,‘সেল প্রাইসটা কম থাকাতে কতটুকু প্রফিটে থাকবে টি গার্ডেনগুলো সেটা বছরের শেষে বলা যাবে। তবে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১০৪ মিলিয়ন কেজির মতো। এবার আমরা কাছাকাছি চলে যাব। তবে এক্সপোর্টের দিক থেকে গতবারের চেয়ে লক্ষমাত্রা এবার বেশি আছে। ‘যদিও আমাদের এই সেক্টরটা একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পাস করছে। এই সেক্টরে যারা জড়িত তাদেরকে বলবো উন্নতি করতে হলে ডিপলী ইনভলব থাকতে হবে। গার্ডেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যানেজার। একটা বাগানের ম্যানেজার ঠিক থাকলে কোনভাবেই বাগানে লস হবে না। ম্যানেজার ঠিক না থাকলে কোন ভাবেই বাগান লাভবান হবে না। চা বাগান লসের ডিসক্রেডিট দিতে হলে টি বোর্ডকেও দিতে হবে। কারন টি বোর্ড এর সাথে জড়িত।’


এসময় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ টি বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহন করেছি। ইতিমধ্যে অনেক বাগানের মালিক এবং ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলেছি। আমাদের নিজস্ব গার্ডেনগুলো ঘুরে দেখেছি। তারা বাগানে লোকসানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এভাবে বাগান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান। কিন্তু একেকটা বাগানে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছেন। এই সেক্টরটা যদি ঝুকির মধ্যে পড়ে এবং এভাবে বাগানগুলোকে লস দিতে হয়, তাহলে আমার মনে হয় না কেউ টি বিজনেসে ইন্টারেস্টেড হবে। আমি নিজে কোন গার্ডেনের ওনার হলে এভাবে লস দিয়ে বাগান চালিয়ে যেতাম না।’ 

 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)  দুপুরে বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) কর্তৃক আয়োজিত প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে ‘সেমিনার অন দ্যা ইউজ অব বিটিআরআই অপ্টিমাইজড টেকনোলজিস ফর দ্যা স্টেকহোল্ডারস’ (বিটিআরআই অপ্টিমাইজড প্রযুক্তি স্টেকহোল্ডারদের ব্যবহার বিষয়ে সেমিনার) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বাংলাদেম চা বোর্ডের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালী বোনার্জী’র পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের নব নিযুক্ত সদস্য এবং যগ্ম সচিব ড. পিযুষ দত্ত। এসময় বক্তব্য রাখেন- ফিনলে টি কোম্পানীর সিইও তাহসিন আহমেদ চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক ড. এ.কে.এম. রফিকুল হক।


বাগান মালিকদের উদ্দ্যেশে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘চা এবং এই সেক্টরের উন্নতির জন্য প্রতি বছর আমরা ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা খরচ করি। আমাদের রিচার্সাররা অনেক কোয়ালিটি রিচার্সার এবং তাদের অনেক এক্সপেরিয়েন্স এবং দক্ষতা আছে। কৃষি ব্যাংক থেকে লো ইন্টারেষ্টে লোন দেয়া হয়। আমি কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে কখনো দ্বিধাবোধ করবো না। আপনারাও কাজ করুন, আমি ধরিয়ে দিব কোথায় কোথায় প্রবলেম আছে। প্রয়োজনে আমি নিজে আপনাদের গার্ডেনে যাব।’

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!