ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

খাদ্য অধিদপ্তরের চাল, গমের বস্তা পরিবর্তনকারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

খাদ্য অধিদপ্তরের চাল, গমের বস্তা পরিবর্তনকারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

শ্রীমঙ্গল সরকারী খাদ্য অধিদপ্তরের চাল, গমের বস্তা পরিবর্তনের সময় জনতার হাতে ধরা পড়লেন এক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে প্রশাসন সহ নানা মহলে শুরু হয়েছে নানা টালবাহানা।

ঘটনাটি ঘটে গত ৫ জানুয়ারী উকিল বাড়ি রোডে সাজ্জিদ বরপনমিয়ার গোডাউনে সচেনতন জনতার হাতে নাতে মালামাল ধরা পড়ে। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে শ্রীমঙ্গল খাদ্য গোদামের কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে যান। কিন্তু অদ্যাবধি এব্যাপারে কোন আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জানাযায়, খাদ্য গোদামের কর্মচারীর।সহযোগীতায় মালামালের ডিও ব্যবসায়ীরা কম মুল্যে কিনে নেন। পরে গোডাউনে নিয়ে বস্তা পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রি করেন। এই ভাবে ব্যবসা করে অনেকে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন।

শ্রীমঙ্গল পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: আলমগীর সেলিম বলেন,আমরা গোপনে খবর পাই খাদ্য অধিদপ্তর থেকে অবৈধ্য  ভাবে পাচার হওয়া চাল,গম এক ব্যবসায়ী বস্তা পরিবর্তন করে বিক্রির পায়তারা করছে। তখন সা্বেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাদ আলী ও নাহিদ তাৎক্ষনিক গিয়ে উকির বাড়ি রোডে সাজ্জিদ নামে এক ব্যাক্তির গোডাউনে খাদ্য অধিদপ্তর বস্তা পরিবর্তন করতে দেখে প্রশ্ন করলে সাজিদ দৌড়ে পালিয়ে যান। আমরা ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করি। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, এসআই মুহিবুর রহমান এসে গেদাম এর তালা খোলে বস্তা পরিবর্তন অবস্থায় মালামাল পান। এ সময় তারা ব্যবসায়ী সাজ্জিদকে বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেননি। এসআই মুহিব আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, থানায় আসার জন্য। কিন্তু ব্যবসায়ী সাজ্জিদ থানায় আসেনি। এসময় একটি সরকারী প্রতিষ্ট্রানের কর্মচারী উপস্থিত হয়ে বলেন, এই চাল,গম তাদের রেশনের মাল। ঐ গুলো মান ভাল না হওয়ায় খেতে না পেরে তারা বিক্রি করে দিয়েছেন। এসময় খাদ্য গোদামের বস্তা সহ তারা কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে কোন উত্তর করতে পারেননি। শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মুহিবুর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমাকে এই বিষয়টি কিছু হবেনা, তাই এটা নিয়ে আর বাড়াতে বলেন।

এব্যাপার শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মুহিবুর বলেন, শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে জানায়, এই মাল তাদের রেশনের। মাল গুলো মান সম্পন্ন না হওয়ায় এই গোডাউনে রেখে গিয়েছিল।  এসময় খাদ্য অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস তাদের মাল সনাক্ত করেন। কাজেই মাল গুলো আর জব্দ করা হয়নি। আর কিছু জানতে হলে অফিসার ইনচার্জের নিকট থেকে জানতে হবে।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি ৫ জানুয়ারী ছুটিতে ছিলাম। ব্যাপারে আমার জানা নেই।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দীপক চন্দ্র মন্ডলকে বার বার ফোনে যোগাযোগ করলেও রিসিভ করেননি।

অভিযুক্ত সাজ্জিদের সাথে বিষয় জানার জন্য যোগাযোগ করলে ফোন ধরে বরেন নেটওয়ার্কে সমস্যা করছে। পরে আর ফোন ধরেননি।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!