ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

মরহুম গিয়াস উদ্দীন অনুগত ও আমলদার ব্যক্তি ছিলেন - মাওলানা আবদুল হালিম

রাশেদুল ইসলাম, নীলফামারী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

মরহুম গিয়াস উদ্দীন অনুগত ও আমলদার ব্যক্তি ছিলেন - মাওলানা আবদুল হালিম

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

নীলফামারীতে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দীনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজার পূর্ব আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিম তাকে একজন অনুগত ও আমলদার ব্যক্তি হিসেবে স্মরণ করেন।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর তার নিজ গ্রাম সদর উপজেলার টুপামারী চৌধুরীপাড়ায় কাছারীর ডাঙ্গা মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম। এছাড়া নীলফামারী জেলা আমীর আব্দুস সাত্তার, নায়েবে আমীর ড.খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, ফোরাম অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মরহুমের ছেলে মিনারুল হক বক্ত রাখেন।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, "অনেক সময় অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু অনুগত ও আমলদার ব্যক্তি পাওয়া যায় না। মরহুম গিয়াস উদ্দীন সব দিক থেকে একজন অনুগত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি সংগঠনে নিবিড় বন্ধন রক্ষা করে কাজ করেছেন এবং বড় দায়িত্ব পালন করেছেন। চাইলে তিনি আরও বেশি উপার্জন করতে পারতেন, কিন্তু তার মনোযোগ কখনো আর্থিক লোভের দিকে ছিল না। তিনি আর্থিক লোভ লালসার ঊর্ধ্বে ছিলেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমীরে জামায়াতের দৃষ্টিতে একজন ভালো মানুষ হওয়া সহজ নয়। কিন্তু আমীরে জামায়াত তার উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যা তার কর্মজীবনের মূল্যায়ন। মরহুম গিয়াস উদ্দীন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং দেশের উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করেছেন। তার নতুন বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা আল্লাহ তায়ালার বরকতে সফল হবে বলে আমি আশাবাদী।"

জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল হালিম। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

এছাড়াও জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতীফ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারী প্রভাষক ছাদের হোসেন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য  মনিরুজ্জামান মন্টু, আব্দুল কাদিম প্রমূখ।

মাওলানা আবদুল হালিম আশা প্রকাশ করেন, সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্ব মরহুম গিয়াস উদ্দীনের পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বয়স ছিলো ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংখ্যক আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকার উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সাংগঠনিক কাজে নীলফামারী থেকে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন রাত ১০টায় আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের ইমামতিতে ঢাকায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!