ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে পলকের শ্যালিকা, আনুকে শোকজ

আরিফুল ইসলাম, নাটোর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

বিএনপির সমাবেশে পলকের শ্যালিকা, আনুকে শোকজ

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির জনসভার মঞ্চে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে বসানোর ঘটনায় অবেশেষে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুকে জবাব দেয়া নির্দেশ দেয়া হয় ওই নোটিশে।


নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের স্বাক্ষরিক একটি নোটিশ শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে দেয়া হয় বিএনপির সূত্র নিশ্চিত করা হয়।


ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার চাচাতো বোন এবং সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি।


শুক্রবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। 


প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিংড়ার সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ। জনসভার মঞ্চের দ্বিতীয় লাইনে ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি বসে ছিলেন। 


মঞ্চের এই বসে থাকার ছবি সমাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছরিয়ে পড়লে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ সাধারণ কর্মীরা গত ১৫ বছর নির্যাতিত হলেও এই সুবিধাবাদী লোকজন সব সময় সুবিধায় থাকে। ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের চাচা শ্বশুর হওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। তাই এখন আওয়ামী লীগের সুবিধাপ্রাপ্ত ফারজানাকে বিএনপির বানানোর চেষ্টা করছেন আনোয়ারুল ইসলাম আনু।


ফারজানা রহমান বলেন, তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বিএনপির জনসভার মঞ্চে বসেছিলেন। এতে রাজনৈতিক কোনো অভিপ্রায় ছিল না। যুব মহিলা লীগে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না বলে তিনি দাবি করেন। তবে সামাজিক কর্মী হয়ে কেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো জবাব দেননি।


উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, তিনি এখনও নোটিশ হাতে পাননি। মৌখিকভাবে তিনি জেনেছেন।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!