ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আদমদীঘিতে নিজ দপ্তরে বৈষম্যের শিকার অফিস সহকারী

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম

আদমদীঘিতে নিজ দপ্তরে বৈষম্যের শিকার অফিস সহকারী

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

বগুড়ার আদমদীঘিতে নিজ দপ্তরে বৈষম্যের শিকার দুলাল চন্দ্র কর্মকার নামের এক অফিস সহকারী। তিনি পাঁচ মাস আগে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে পাননি নিজের ডেস্কসহ বসার চেয়ার। অথচ একই পদে কাজ করছেন প্রধান কর্মকর্তার পছন্দের

সদ্য প্রকল্প শেষ হওয়া এক অপারেটর। এমন অভিযোগ উঠেছে ওই কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা বরুণ কুমার পালের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার তাকে অভিযোগ করেও মেলেনি সমাধান। ফলে দায়িত্বরত কর্মকর্তার এমন বৈষম্য আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী দুলাল চন্দ্র কর্মকার জানান, গত ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই নওগাঁ জেলার আত্রাই থেকে আদমদীঘি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগদান করি। এখানে আসার পর থেকে অফিসের ভিতরে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এতদিনেও পায়নি কাজের জায়গা। নিজস্ব ডেস্ক এমনকি বসার চেয়ার পর্যন্ত। অথচ যে কাজে এখানে আসা হয়েছে ওই কাজটি থেকে আমাকে বঞ্চিত করে রেখেছেন প্রধান কর্মকর্তা বরুণ কুমার পাল। আমার জায়গায় প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া আলমগীর নামের এক অপারেটরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। তবুও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে কার্যক্রমটি করছেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে একাধিক বার জানালেও তিনি আমলে নেয়না। দীর্ঘদিন পর পরিশেষে একদিন বলেন এখানে জায়গা সীমিত নতুন বিল্ডিংয়ে পার হলে বসার চেয়ারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হবে। আপাতত অফিসের সকলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বসতে বলেন। এভাবে দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান মেলেনি। শুধু তাই নয় নিজ অফিসের কিছু স্টাফ আমার সঙ্গে অসুলভ আচরণ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে তারা অপবাদ দেন। কয়েকদিন থেকে একটি গুজব ছড়াচ্ছে আমাকে নাকি সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রতিবাদ করলেও যেনো দেখার কেউ নাই। এজন্য বাধ্য হয়ে অফিসে বাহিরে সময় পার করতে হয়। বিষয়টির সুরাহা জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সচেতন নাগরিক সালাম হোসেন জানান, একজন কম্পিউটার অপারেটর বসার চেয়ার, ডেস্ক থাকে না বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তাহলে যে কাজে তাকে রাখা হয়েছে সেটা হবে কিভাবে। কর্মক্ষেত্র ছেড়ে আশেপাশে ঘুরেবেড়ানো এটা মোটেও ভালো দেখায় না। জরুরিভিত্তিতে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন বলে মনে করছি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরুণ কুমার পাল জানান, এই অফিসের ঘর কম৷ একটাতে ট্রেনিং সেন্টার বাকিগুলো দুটা ঘরের মধ্যে একটাতে আমি বসি। আরেকটাতে সমস্ত স্টাফ বসে। এখানে মানিয়ে নিয়ে সকলকে থাকতে হবে। বাকিদের তো কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া তার বসার চেয়ার তো রয়েছে। অন্যান্য স্টাফরা তো বসে। এখন সে যদি বলে ডেস্ক বানিয়ে দিতে এখন সেটা সম্ভব নয়। নতুন বিল্ডিংয়ে উঠি তখন একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর এখানে আলমগীর নামের যে অপারেটর আছে তার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে শীগ্রই কার্যকর হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে একটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!