ঢাকা শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

খুলনায় মন্দিরের অর্থ লোপাটকারী মন্দিরের প্রভাবশালী সভাপতি

মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

খুলনায় মন্দিরের অর্থ লোপাটকারী  মন্দিরের প্রভাবশালী সভাপতি

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

খুলনার দোলখোলায় অবস্থিত শ্রী শ্রী শ্রীতলমাতা ঠাকুরানী মন্দিরের বর্তমান সুজিৎ কুমার সাহা এখন শ্রী শ্রী শ্রীতলামাতা ঠাকুরানী মন্দিরের প্রভাবশালী  একজন দূর্নীতিগ্রস্থ, স্বৈরাচারের দোসর, পূর্ব দূর্নীতির দায়ে মন্দিরে প্রবেশে নিষিদ্ধ ব্যক্তি। তার নামে অসংখ্য অভিযোগ আছে। তিনি এখন মন্দিরের প্রভাবশালী সভাপতি।

এসব অভিযোগ তদন্ত হলে দেখা যায় তিনি বহু বছর যাবত মন্দিরের নামে আসা  সরকারি অনুদান আত্মসাত করেছেন। যা নগদ টাকায় প্রায় ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা প্রায়। এতকিছুর পরেও তিনি উক্ত কমিটিতে বহাল তবিয়তে থেকে যান আওয়ামীলিগের প্রভাবশালী নেতাদের সুপারিশে।
আর জানা গেছে স্বৈরাচার পতনের পর তিনি নিজের সকল অপকর্ম ধামাচাপা দিয়ে আরো প্রভাবশালী হয়ে উঠেন গত ১৮- সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হওয়ার পর। এজন্য তিনি সহযোগিতা নেন জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর প্রকাশ্য হামলাকারী ও গুলি বর্ষনকারী কেসিসির সাবেক  ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রাফিউদ্দীনের। তার উপস্থিতিতেই কমিটি ঘোষনা করা হয় যাতে কেউ সুজিৎ কুমার সাহার বিরোধিতা না করতে পারে। জানা গেছে এই কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য তিনি গোপনে প্রচুর অর্থ খরচ করেছেন।

শেখ হাসিনা পালানোর পর সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী শুরু হওয়া ছাত্র-জনতা সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অত্র মন্দিরের  দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন  শুরু হয়। এই পরিপেক্ষিতে  হিন্দু কমিউনিটির শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবি করেন। এজন্য তারা প্রথমে উক্ত কমিটির সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করেন এবং সুজিৎ কুমার সাহার বিরুদ্ধে উত্থিত হওয়া অভিযোগের নানা ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

কিছুদিন পূর্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনগণ তার পদত্যাগের দাবি নিয়ে গেলে তিনি বলেন ওই মন্দিরটি সরাসরি ভারতীয় নির্দেশনায় পরিচালিত হয় এবং তিনি ৫ আগস্টে পর গঠিত হওয়া কমিটির সভাপতি। ঐদিন সেখানে একটি অনুষ্ঠান থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনগণ তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু অদ্যবদি তিনি পদত্যাগ করেননি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি একজন অর্থ লোপাটকারি ব্যক্তি কখনোই হতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ চাই।

খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি হৃদয় ঘরামী বলেন ধর্মশালায় একটি পবিত্র স্থান। এখানে কোনো দুর্নীতিবাজ, টাকা লোপাটকারী, অসৎ ব্যক্তির স্থান নেই। সকল পাপ থেকে মুক্ত হতে সবাই এখানে আসে। কিন্তু সেই মসজিদ, মন্দির বা গির্জা পরিচালনা কমিটির প্রধান যদি দুর্নীতিবাজ, অর্থ লোপাটকারী হয় তাহলে এর বিচার করবে কে...?
আশাকরি তিনি দ্রুতই পদত্যাগ করবেন এবং নতুন  নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠিত হোক। মন্দিরের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হোক জনবান্ধব হোক  আমরা সেই প্রত্যাশা করি।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!