মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিরার (৩০ জানুয়ারী) মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মঙ্গল লাল রবি দাসের স্ত্রী মিরা দাশ সহ ভোক্তভগীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রবি দাসের স্ত্রী মিরা দাশ বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার ১ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের মৌরসী জমিতে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। আমাদের মাথা গুজার মতো ঠাঁঁই নাই। আমার শ্বশুর রাম তারুয়া রুহী দাস ২০০১ সালে মো: মখলিছুর রহমানের নিকট থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার যাত্রাপাশা মৌজার জেএল নং-১১, এসএ খতিয়ান নং- ৫৬৮, আর এস ডিপি খতিয়ান নং ২৭৭, এসএ দাগ নং ৩০, আর এস দাগ নং ৪১, . ২১ শতক ভূমির মধ্যে. ১৩ শতক ভূমি ৩৩৫১ নং রেজিষ্টারী দলিল মুলে ক্রয় করে স্বত্ব দখলদার হন। বহু কষ্টে. ১৩ শতক ভুমি আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই করে বাড়ি তৈরীর জন্য ক্রয় করে রেখে ছিলেন। কিন্তু অভাব অনটনের কারনে ঘর বাড়ি তৈরী করতে পারেননি। আমরাও কয়েকটি বাঁশের খুটি পুতে ঘর তৈরীর প্রস্ততি নিয়েছিলাম, কিন্তু অর্থ অভাবে পারিনি। রাম তারুয়া রুহী দাসের মৃত্যুর পর দুই পুত্র মোহন লাল রবি দাস ও মঙ্গল লাল রবি দাস মৌরসী সুত্রে মালিক হন। পরবর্তীতে মোহন লাল রবি দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লক্ষী রানী ও তার চার পুত্র সম্ভু লাল রবি দাস, মঞ্জু লাল রবি দাস, সঞ্জু লাল রবি দাস, রঞ্জু লাল রবি দাস মালিক হন। ইদানিং মির্জাপুর, কাশিপুর গ্রামের বাসিন্ধা সুরুজ মিয়া গং আমাদের বাঁশের পুতে রাখা খুটিতে ২৩/০১/২৪ ইং রাতের অন্ধকারে টিনের বেড়া ও ঘরের চালে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরী করে নেয়। সে খুব অসৎ প্রকৃতির পরের সম্পদ আত্নসাৎকারী লোক। রাম তারুয়া রবি দাস ও আমাদের উত্তরাধীকারিরা দীর্ঘ দিন জীবিকার সন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে মৃত্যুবরন করায় নামজারি করানো সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ভোগ দখলে কোন জটিলতা হয়নি। ২০২২ সালে নামজারী করানোর জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিলে জানা যায় . ২১ শতক ভূমি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর নামে আর এস ৪১ দাগে রেকর্ড হয়েছে।
বিষযটি অবগত হওয়ার পর ১১/০৫/২২ ইং লক্ষী রানী রবি দাসসহ অন্যান্য ওযারিশান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গল বরাবরে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে বিবাদী করে মামলা দেওয়া হয়। মামলা নং ৯০/২২ ইং। গত ০৬/০২/২৩ ইং আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং আমাদের তৈরী বাঁশের খটির ঘরে প্রবেশ করে।
আপনার মতামত লিখুন :