নীলফামারীর ডোমারে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. হৃদয়ের (২৫) বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক প্রতিনিধিকে রাতের বেলা হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার কঠোর শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ডোমারের প্রধান সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে। এতে যানজট হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. হৃদয় (২৫) ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার ছাবেদ আলীর ছেলে ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডোমার উপজেলার সহ-সভাপতি।
আহত ছাত্রনেতা ফজলে রাব্বি (২২) ডোমার পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মাবুদের ছেলে। বর্তমানে রাব্বি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ছাত্রনেতা ফজলে রাব্বি জানায়, গত রাত আড়াই টার দিকে নাইট টুর্নামেন্ট শেষে পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়ায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে কোনো কারন ছাড়াই অতর্কিত আক্রমণ করে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির হৃদয়। এ সময় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পায়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী জড়ো হলে লোকজন দেখে পালিয়ে যায় রিদয়। বিনা কারনে কেনো হামলার শিকার হলেন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীর কঠিন শাস্তি দাবি করেন ফজলে রাব্বি।
সড়ক অবরোধকালে ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, ফজলে রাব্বি জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের অন্যতম একজন সহযোগী। তারউপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা হৃদয়। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করা হয়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ামাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সেই সদস্যকে রাতেই গ্রেফতার করি। আজ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়ের পরিবারের এক সদস্যকে উত্ত্যক্ত করছিলেন ফজলে রাব্বি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিরোধের সূচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হৃদয়ের পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :