চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা কারণে ছিন্নমূল খেটেখাওয়া মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। রোদহীন দিনভর কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে সূর্যের দেখা না পাওয়া, ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকা এবং হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার ফলে সাপ্তাহিক কর্ম দিবসের শেষ দিনে শহরের জন সমাগম ছিল কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি। এমন ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। শীতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে ২৪ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা যায়, রাত যত গভীর হয় শীত টিনের চালে বা জানালার কার্নিশে তার প্রগাঢ় উপস্থিতির জানায় দেয়। মৌলভীবাজার জেলা ও উপজেলাসহ প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার পাহাড়ি এলাকার অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও চা শ্রমিকরা রয়েছে চরম দুর্ভোগে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় সড়কগুলোতে বেড়েছে দুর্ঘটনা, এতে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। দিনমজুর ও চা শ্রমিকদের শীত উপেক্ষা করেই তাদের খুব সকালে কাজের তাগিদে বের হতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মারুফ হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বেড়েছে। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
দিনমজুর মজিদ বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়েছে। ঘুম থেকে উঠেই কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ ছাড়া কোনো উপায় নেই আমাদের।
সদর প্রেমনগর চা বাগানের শ্রমিক কমল কর্মকার বলেন, বাগানে এখন খুব বেশী শীত। আমাদের কি আর শীত আর গরম আছে। কাজ করতে হবে। কাজ না করলে পরিবার চলবে না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে না খেয়ে উপাস মরতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের থেকে জানাযায়, নতুন বছরের জানুয়ারিতে বেশির ভাগ সময় দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মজিবুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলের (২৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২১ ও ২২,২৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিলন ২১.৫ ও ১২.৮ এবং ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীদের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার সির্ভিল সার্জন ডা. মো. মামুনুর রশিদ।
আপনার মতামত লিখুন :