দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত রাস্তা নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। পথচারিরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা পথচারিরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা কোথাও কোথাও হকাররা ফুটপাত ছেড়ে সড়কের ওপর চলে এসেছে।
এ চিত্র খুলনা মহানগরীর থানার মোড় থেকে বড়ো বাজার ডাকবাংলা থেকে বাজার বাজারের ফুটপাত ও সড়কগুলো উভয়ই দখলে।
বিএন পি অফিসের সামনে বইয়ের দোকানদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, এই হকারদের কারনে রাস্তায় যানযট হয়, মানুষের ভোগান্তি হয় আমি বলবো গরীবের কর্মসংস্থান করে রাস্তা পরিষ্কার করা হোক। আমাদের সিটির কোনো পরিকল্পনা নাই।
হুজাইফা নামের এক দোকানদার বলেন, ফুটপাত ক্লিয়ার রাখা জরুরি তবে কি করবো ভাই কাস্টমারেরা দোকানে ডুকে না তাই ঝুড়ি নিয়ে পন্যসামগ্রি বিক্রি করি মানুষ মনে করে যে ফুটপাতে দাম কম তাই এটা করি। অন্যায় কাজ করি সবাই করে আমি একা সাধু হলে তো আর পেটে ভাত জুটবে না।
ভ্যানের উপর বসে বিক্রি করা রিপন নামের এক দোকানদার বলেন, ১০/১২ বছর যাবৎ রাস্তার উপর দাড়িয়ে ব্যবসা করি আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের ৩ দফায় চাঁদা দিতে হতো এক পার্টি ৫০ টাকা এক পার্টি ২০ টাকা সর্বশেষ এক পার্টিকে ১০ টাকা দিতে হতো এখন চাঁদা দিতে হয় না বলে হকার বেশি।
ব্যবসায়ী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আগের সরকারের আমলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফাঁড়ির পুলিশ থেকে টাকা নিতে। এখন আসে না বলে হকার সংখ্যা বাড়ছে।
বি এন পি অফিসের সামনে থেকে হেটে যাচ্ছিলেন নাহিদ তিনি বলেন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে রাস্তা এবং ফুটপাত দখল কেনো করবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সাদিয়া নামের এক পথোচারী বলেন, এরা গরীব মানুষ এটা ঠিক তবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে জনগনে ভোগান্তি করা কোনো মানুষের উচিৎ না। বড়ো বাজার আসলে খুবই কষ্ট হয় এতো ভীর যে হেঁটে ভিতরের মার্কেটে ঢোকাই মুসকিল।
খুলনার নাগরিক নেতা আ্যডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, বাজার এলাকার ফুটপাত ও মূল সড়কের একটা বড়ো অংশ অবৈধভাবে দখলকরে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করা দীর্ঘ দিনের সমস্যা একদিকে যেমন স্থায়ী দোকানদারেরা তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে করতে ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে চলে আসেন। অন্যদিকে তাদের সেলসম্যান এবং ক্রেতাদের ভিড়ে সড়কের বড়ো অংশ অবোরদ্ব হয়ে যায় তাছাড়া মানুষ বাজার করতে আসে ইজিবাইক ও রিকশা নিয়ে এতে যানযট লেগেই থাকে এজন্য দরকার পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
খুলনার বড়ো বাজার ব্যবসায়ী সম্বনয়ক মনিরুল ইসলাম মাসুম বলেন, আমরা যারা দোকান নিয়ে ব্যবসা করি আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দি ফুটপাতে তারা এমন ভাবে দাঁড়িয়ে কেনা বেচা করে মার্কেটের মধ্যে কোনো কাস্টমার ডুকতে পারে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন সিটি কর্পোরেশনের কাজটা কি তারা যদি ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারীদের সড়াতে না পরে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আবু তারেক বলেন, সড়ক দখল, যত্রযত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট ও পথচলায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।আমরা এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি। দ্রুত এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেবো। কিন্তু প্রথমে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :