গাজীপুরে টঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশপাশের পোশাক শ্রমিক ও স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করে।
নিহত ওই পোশাক শ্রমিকের নাম হালিমা আক্তার (৩০)।তিনি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার কাচারী পোড়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাই এর মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানান, নিহত এই নারী পোশাক শ্রমিক সড়কের পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশের অংশে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিআরটি এর মাঝের লেনে পৌঁছালে গাজীপুট মুখি দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি গাড়ি নিহত ওই শ্রমিক কে ধাক্কা দেয়। এরপর পরপরই আরো একটি অজ্ঞাত গাড়ি ওই নারীকে চাপা দেয়।
শাহ আলম হোসেন নামে স্থানীয় এক পোশাক শ্রমিক বলেন, গেল কিছুদিন আগে এই স্থানে সিটি কর্পোরেশনের একটি গাড়ির চাপায় এক নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারও আগে এই বিআরটি এর মাঝের লেনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানী হয়েছে। আজও একজন মারা গেছে। আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঝের লেনটিন উচু বাউন্ডারি দিয়ে যত তত্ত্ব পারাপার বন্ধ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফ্লাইওভার গুলো জনসাধারণের পারাপারের জন্য খুলে দেওয়া হোক।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানাধীন তারগাছ এলাকা ও টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ থানায় চরম ভোগান্তিতে পারেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীরা। মহাসড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় সৃষ্টি হয় চরম যানজটের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজুর ইসলাম বলেন, নিহত ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘাতক গাড়িটিকে সনাক্ত ও গাড়ি চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মহাসড়কে আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়দের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি কিছুক্ষনের মধ্যেই ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :