ঢাকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

আইন না মেনেই চা বাগানের ৫ শতাধিক গাছ বিক্রি

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

আইন না মেনেই চা বাগানের ৫ শতাধিক গাছ বিক্রি

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরের রহমানীয় টি এষ্টেট চা বাগান বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই বিক্রি করে দিয়েছে খাস খতিয়ানের ৫ শতাধিক বনজ বৃক্ষ। গত ৩দিন ধরে অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, টি বোর্ড, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কোনো অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়াই চা বাগানটি বিধিবর্হিভুতভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে একদিকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ও অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে।

জানা গেছে, রহমানীয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক রকিবুল আহসান বাগানের লীজকৃত ডিসি খতিয়ানের টিলা ভূমির ৩৫/৩৬ লাখ টাকার মেনজিয়াম, হাইব্রিড আকাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ শতাধিক বৃক্ষ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্রেতারা শনিবার থেকে গাছ কাট শুরু করেছেন। দিনে গাছ কেটে রাতের আধারে বিভিন্ন করাত কলে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে চা বাগানের গারো টিলায় গিয়ে দেখা গেছে ৫/৬ জন শ্রমিক একের পর এক গাছ কাটছেন। তাদের তদরাকি করছেন জনৈক সায়েদ আহমদ ও বাগান চৌকিদারের ছেলে গনেশ কর্মকার। তারা জানান, বাগানের ম্যানেজার তাদেরকে দিয়ে গাছ কাটাচ্ছেন। তিন দিনে কাটা গাছগুলো কোথায় জানতে চাইলে তারা জানায়, গাছগুলো বাগানের অফিসে রাখা হচ্ছে। তবে, বাগানের কোথাও কাটা গাছগুলো মজুত থাকতে দেখা যায়নি।

এব্যাপারে জানতে বাগানের অফিসে গিয়েও ম্যানেজার রকিবুল আহসানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে রিং বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারি বন সংরক্ষক ও বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল মৃধা জানান, বন আইনে বিনা অনুমতিতে বনজ বৃক্ষ কাটা ও বিক্রি অবৈধ। রহমানীয়া চা বাগান গাছ কাটার কোনো পার্মিশন নেয়নি। খোঁজ নিয়ে এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।

ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, সোমবার বিকেলের দিকে তিনি এই চা বাগানে ব্যাপক হারে সরকারি ভূমির গাছ কাটার খবর পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!