ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাবেক মন্ত্রী গাজী, শম্ভুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

সাবেক মন্ত্রী গাজী, শম্ভুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি- বর্তমান বাংলাদেশ।

অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, বরগুনা-১ আসনের সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।   

মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী গাজী ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী ও ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে নিজের কারখানা স্থাপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার শান্তিনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এছাড়া নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্ত্রী হাসিনা গাজীকে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন।  

সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপিকর্মী ও একজন যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় আসামিও হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালের অল্প কিছুদিনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার ছেলে সুনাম দেবনাথের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারিসংশ্লিষ্ট দফতরে টেন্ডারবাজি করে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন তিনি।

অভিযোগ আছে জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই আওয়ামী নেতা। তিন দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন শম্ভু। ৫ বার আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!