ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

রেড নোটিশ জারি করে কি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফেরত আনা সম্ভব?

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম

রেড নোটিশ জারি করে কি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফেরত আনা সম্ভব?

গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব অপরাধে আরও অভিযুক্ত রয়েছেন তার দলের একাধিক নেতাকর্মীরা।

জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গত কয়েকদিন আগে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, “পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”

এখন প্রশ্ন হলো- ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কি ফেরত আনা সম্ভব? বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই প্রশ্নে উত্তর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় বর্তমানে ৬৪ জন বাংলাদেশির নাম রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ফৌজদারি অপরাধ ও বিভিন্ন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এর আগে ২০১৫ সালে ২১শে অাগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছিল। পরে তারেক রহমানের আইনজীবী আইনি লড়াই শুরু করে। এরপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ ইন্টারপোলের ৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রেড নোটিশের তালিকা থেকে তারেক রহমানের নাম বাদ দেয়ার আদেশ দেয় ইন্টারপোল কমিশন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু বিচার শুরু হওয়ার পর আযাদ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। তাকে ফেরত আনতে রেড এলার্ট জারি করেছিল ইন্টারপোল। কিন্তু এখন পর্যন্ত আযাদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে তারেক রহমানের নাম ৬৪ জনের তালিকা থেকে বাদ গেলে আযাদের নাম এখনো রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক নূরুল হুদার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ,ইন্টারপোলে কাউকে রেড এলার্ট দিলেই যে তাকে দেশে ফেরত আনা যাবে বিষয়টি তেমন নয়। যার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তাকে যে দেশে নেয়া হবে সেই দেশের পরিস্থিতি কেমন। কিংবা রাজনৈতিক কোনো কারণ আছে কি না সেগুলোও বিচার বিশ্লেষণ করা হবে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক কাউকে ফৌজদারি অপরাধে আটক দেখিয়ে আনা খুব একটা সহজ নয়।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!