ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

পিছিয়ে গেল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম

পিছিয়ে গেল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় ওঠার কথা ছিল। তবে সংস্থাটির বোর্ড সভা পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য ঋণ ছাড়ের বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১২ মার্চ আইএমএফের বোর্ড সভায় এটি উঠতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ ছিল। মূলত এ কারণেই বোর্ড সভার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ ছিল। মূলত এ কারণেই বোর্ড সভার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সংস্থাটি থেকে চাপ ছিল। এ ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে আসছি।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত ও ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে সংস্থাটি।

তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করছে, ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এদিকে ৪৭০ কোটি ডলারের চলমান এই ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এই অর্থ দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ। তবে এ জন্য কর আদায় ও নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করাসহ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মতো কিছু কঠোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানো–সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনসহ কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ সভায় চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। বোর্ড অনুমোদন দিলে ঋণ ছাড় করা হবে।

একই সঙ্গে চলমান কর্মসূচির আওতায় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলার করতেও তারা রাজি হয়েছেন বলে জানান তিনি।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!