ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

শিক্ষকতা ও গবেষণা বিশ্যবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবশ্যকীয় দায়িত্ব: চবি উপাচার্য

রেফায়েত উল্যাহ রুপক, চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ১১:১৮ পিএম

শিক্ষকতা ও গবেষণা বিশ্যবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবশ্যকীয় দায়িত্ব: চবি উপাচার্য

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

শিক্ষকতা ও গবেষণা পাবলিক বিশ্যবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবশ্যকীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুইটি দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। ডাটা এবং এভিডেন্স টু এন্ড এক্সট্রিম পোভার্টির(ডিপ) গবেষণা ফান্ড উদ্বোধনী কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভাকক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

ডিপ দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে গবেষণায় বাংলাদেশের আগ্রহীদের জন্য অনুদান প্রদান করবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড নামে এই তহবিল থেকে বাংলাদেশী গবেষকদের স্বল্প ও মাঝারি আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। একটি উদ্বোধনী কর্মশালার মাধ্যমে এই ফান্ডটির উদ্বোধন করা হয়।


এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  উপাচার্য বলেন, "শিক্ষকতা ও গবেষণা পাবলিক বিশ্যবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবশ্যকীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুইটি দায়িত্ব। অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টকে খুবই ধন্যবাদ গবেষকদের জন্য এমন গবেষণা ফান্ডের উদ্যোগ নেয়ার জন্য। আমি নিশ্চিত এমন উদ্যোগ আমাদের তরুণ শিক্ষক, পিএইচডি ও এমফিল গবেষক, ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরও উদ্বুদ্ধ করবে। আমি আশা করি অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের সাথে একসাথে কাজ করার এটা মাত্র শুরু এবং আমরা সবসময় এমন উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবো।

কর্মশালার শুরুতে ডিপ-এর কর্মকর্তা ও স্টেয়ারিং কমিটির মেম্বাররা ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করেন। অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশন দেন কনসালটেন্ট সোলায়মান মুহিত, ইকোনমিস্ট প্রিন্সিপাল ওমার সালাম, গ্লোবাল প্রজেক্ট ম্যানেজার জেমি উইলিয়াম। বক্তারা দারিদ্র দূরীকরণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। 


ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার জেমী উইলিয়ামস বলেন,” আমরা তথ্য ও উপাত্তের স্বল্পতা দূর করে, দারিদ্র দূরীকরণে জন্য যাতে একটি কার্যকর জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়, সে ব্যাপারে নীতি নির্ধারকদের সহায়তা করতে চাই। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশী গবেষকদের সেই সব বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করতে চাই যা এর আগে গবেষণায় উঠে আসেনি।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপ-উপাচার্য (একাডেমিক)  প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ডিপ-- ইউভাসিটি অব কর্নওয়েল, সাউদাম্পটন, কোপেনহেগেন এবং অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে ও বিশ্ব ব্যাংকের ডাটা ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের অংশীদারীত্বে একটি কনসোর্টিয়াম বা সংঘ। যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে কনসোর্টিয়ামটি পরিচালিত হচ্ছে।

ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য বাংলাদেশী গবেষকদের দারীদ্র দূরীকরণের বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করা, যা দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ে তথ্য এবং উপাত্তের ঘাটতি দূর করবে এবং এ সকল তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করে দেশে নীতি নির্ধারকদের দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ক জাতীয় নীতি, কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা, যাতে একটি সমন্বিত ও কার্যকর উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র দূর করে মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায়। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, ঢাকার বাইরের গবেষকদের মাঝে ফান্ডটিকে পরিচিত করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!