রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও রড, হকিস্টিক, স্টিলের পাইপ, স্ট্যাম্পসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে হঠাৎই ক্যাম্পাসের ১৭টি হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ ও সোহরাওয়ার্দী হল এলাকায় জড়ো হন।
ছাত্রলীগসূত্রে জানা গেছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ হলে অবস্থান করছেন বলে খবর উঠে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ মাদার বখ্শ হলের সামনে অবস্থান নেন।
এমন পরিস্থিতিতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে উপস্থিত থেকে এসব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ও মাদার বখ্শ আবাসিক হলের মধ্যবর্তী স্থানে সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। গেস্টরুমে এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসাকে কেন্দ্র করে হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়।
এ নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদের কিছু অনুসারী হলে প্রবেশ করেন।
এ ঘটনার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী মাদার বখ্শ হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিনও দুপক্ষের মাঝে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেখা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :