চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কামানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও নির্মিত হলে আসন বরাদ্দসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলো হলো- ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে, বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে, অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করতে হবে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্তহামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ৯ দফা দাবির বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে, এখানে প্রশাসন যদি ফি না কমিয়ে ১ হাজার টাকায় রাখে আমরা আরো কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে আবেদন করে। এখানে ১ হাজার টাকা আবেদন ফি কোনোভাবেই যৌক্তিক না। আমরা মনে করি ২শত টাকা করলেই হয়।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা দেখছি প্রশাসন ফ্যাসিস্টের দোসর যেসব শিক্ষার্থী ছিলো তাদের অনেককেই বিভাগের কনফারেন্স রুমে বিশেষ সুবিধায় পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসন আমাদের কাজের অযুহাত দিচ্ছে। আমরা বলতে চাই যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন দায়িত্ব ছেড়ে দেন এসব নাটক আমাদের সাথে করবেন না।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরিফ মঈনুদ্দিন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের আবির বিন জাবেদ, ইংরেজি বিভাগের জালাল উদ্দীন মিজবাহ, মার্কেটিং বিভাগের আজাদ হোসেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ, সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জশদ জাকির, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফারুক হোসেন।
মানববন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :