তিন মাসের জন্য গঠন করা হয়েছিল আহ্বায়ক কমিটি। এরপর চলে গেছে সাড়ে তিন বছর। সাড়ে তিন বছরেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে ব্যর্থ হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।
নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চান শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে ২০২১ সালের জুনে ইবি শাখা ছাত্রদলের ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। তবে শাখা ছাত্রদলের ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটির সাংগঠনিক কর্মসূচিতে ১০-১১ জন পদধারী নেতাদের দেখা যায়।
জানা যায়, আহ্বায়ক কমিটির ২০ জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তারমাঝে বিবাহিত হয়েও কমিটিতে আছেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, নৌশিন তাবাসসুম ও সদস্য মাহমুদুল হাসান। কমিটিতে অপরিচিত হিসাবে স্থান পেয়েছে- যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন হোসাইন, তুহিন হোসাইন, সদস্য রাজু আহমেদ, সম্রাট হোসাইন, সানজিদা ইসলাম ও রুনা খাতুন।
কমিটিতে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় আছেন- যুগ্ম আহবায়ক শাহানুর হোসেন, ওমর শরীফ, সবুজ হোসেন, মেহেদী হাসান হিরা, মনিরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, সোলাইমান চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন রানা, সদস্য জিতু আহসান, ওসমান আলী, রাফসান জনি শাওন।
শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, সাড়ে তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারা কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যর্থতা। একাধিকবার কমিটি গঠন নিয়ে গুঞ্জন উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। এতে নেতৃত্ব বিকাশ এবং সংগঠনে গতিশীলতা তৈরি হয়নি। সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য তারুণ্য নির্ভর নতুন কমিটি দেওয়া প্রয়োজন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিঠুন হোসাইন বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির ৬ জন অপরিচিতসহ নানা কারনে ২০ জন নিষ্ক্রিয়। আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল দ্রুতই একটি সুন্দর কমিটি আমাদের উপহার দিবে। যেখানে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইবি শাখা ছাত্রদল নিয়ে আমারা কাজ করছি। অতিদ্রুতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :