সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মেসে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের নিকটস্থ পাচুরিয়ায় শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে হামলা চালিয়ে ৮ জনকে আহত করার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী হঠাৎ মেসে প্রবেশ করে এরপর মেসে ঢুকে তাদেরকে সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজের একপর্যায়ে তাদেরকে পাইপ দিয়ে মারতে শুরু করে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বলে, `তোরা সমন্বয়ক তোরা আন্দোলন করেছিস`।
হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীরা হলেন এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা, কৃষি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ ও ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াজদানী। এছাড়াও আহত হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান এবং স্থানীয় দুই শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ ও খালিদ।
এই ঘটনায় কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াজদানীর হাত ভেঙ্গার খবর পাওয়া গিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন বলেন, " গোপালগঞ্জে বার বার শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ভাবে হামলা করা হচ্ছে। আমরা অতিবিলম্বে এই সকল হামলার বিচার চাই। যে সকল সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায়। "
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, " আজ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এই সকল ঘটনার বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের দমন করার দাবি জানাচ্ছি। `
এই ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানার ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান জড়িত প্রধান আসামি ইফতির গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন," আমাদের সকল টিম বাকিদের আটকের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদেরকে আমরা দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি করবো।"
উক্ত ঘটনাটি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে স্লোগান দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়," ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাইয়ে তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উক্ত বিষয়ে বাদী হয়ে মামলা করবে না, তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা যেন বাদী হয়ে মামলা করতে পারে সেই ব্যাপারে সর্বাত্ত্বক সহযোগিতা করা হবে"।
আপনার মতামত লিখুন :