ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মসূচি

ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মসূচি

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তবুও ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে  ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা  সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের একাংশ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ব্যানারে আগরতলায় বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।

এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। তবে কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। সংগঠনের পদপ্রত্যাশী কর্মীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আজকের এই মিছিলটিতে অংশগ্রহণ করা কর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিনের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

মিছিলটিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, নওরীনের অনুসারী ও ঘনিষ্ঠজন আরিফ হোসেন শান্তকে। এর আগেও রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদলের কর্মীরা নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ নানারকম কার্যক্রম চালিয়েছে। তারা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফুল, কলম ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবির প্রচারপত্র বিতরণ করেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই।

 

এ বিষয়ে জানতে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া আরিফ হোসেন শান্তকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

নওরীন গ্রুপের অনুসারী ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরেক কর্মী আজমাইন সাকিব বলনে, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ গণতন্ত্র বিরোধী। আমি মনে করি, বাক স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র চর্চার অংশ হিসেবে রাজনীতি করা অন্যান্য সংগঠনসহ ছাত্রদলের এখতিয়ার আছে।


তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ক্রিয়াশীল সকল ছাত্রসংগঠনই প্রোগাম মিছিল মিটিং করছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে মিটিং মিছিল করবে এটা স্বাভাবিক।

 

তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কোনো কমিটি না থাকা সত্বেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ব্যানারে কিভাবে তারা মিছিল করেন এই প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

ক্যাম্পাসের ভিতর রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ছাত্রদলের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন বলেন, রাজনীতি করার অধিকার আমাদের মৌলিক অধিকার।আজকের বিষয়টা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল ও মতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি যে ভিসি নিষিদ্ধ করেন তিনি সমালোচিত ও স্বৈরাশাসকের ব্যাক্তি। সেহেতু ছাত্র রাজনীতি এটি একটি আলোচনার বিষয়।ছাত্রদল কোন গুপ্ত দল না।আমরা প্রকাশ্য ছাত্রবান্ধব রাজনীতি করব।


এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রদলের এমন কর্মকান্ড বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ.টি.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কয়েকটি পত্রিকায় ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।আমি একটি মিটিং এ আছি বলে ফোন কেটে দেন এ প্রতিবেদকের।


বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ আগস্ট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৮৫ তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতিসহ সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!