রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও ভুয়া ছাত্রত্বের পরিচয় দিতেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব। মঙ্গলবার (৪ জুন) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের `ভুয়া সনদে` রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। যা আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য। উক্ত ব্যক্তি এই বিভাগের শিক্ষার্থী নন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তিনি (মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জুলাই ২০২১ সেশনের ছাত্র (আইডি নং: ২৩১০০৪৬২১০) হিসেবে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। তবে তার জমাকৃত অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি যাচাইপূর্বক ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জরুরি সভায় ভর্তি বাতিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল- গালিব বলেন, `এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিছু জানা নেই। আমার কাছে বিভাগের প্রত্যয়ন পত্র আছে।`
এর আগে, রাবি শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনের পূর্বে আসাদুল্লা-হিল-গালিবের স্নাতকের সার্টিফিকেট ভুয়া উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিলো, শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাসের ভুয়া সনদ সংগ্রহ করে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন গালিব। খবরটি তখন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেও তার পদ পেতে সেটা কোনো প্রভাব ফেলেনি।
জানা যায়, গালিব রাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগে ২০১৪-১৫ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথম বর্ষে কৃতকার্য হয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উঠলেও দ্বিতীয় বর্ষ পার হতে পারেননি তিনি। বিভাগ থেকে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ড্রপ-আউট হন তিনি।
এছাড়া, সম্মেলনের আগে গালিবের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগ ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র না হয়েও অবৈধভাবে হলে থাকছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :