ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
আসছে চরকি সিরিজ ‘ফেউ’

শিল্পীর মুখে ভয়াবহ শুটিং অভিজ্ঞতার গল্প

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম

শিল্পীর মুখে ভয়াবহ শুটিং অভিজ্ঞতার গল্প

ছবি: সংগৃহীত।

চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ফেউ’–এর ঘোষণা এসেছে আগেই। এবার এলো এর টিজার। এরমধ্য দিয়ে সিরিজের অভিনয়শিল্পী এবং মুক্তির তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিজটি চরকিতে আসছে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে (৩০ জানুয়ারি)।

আর এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস, এ কে আজাদ সেতু।

সিরিজে কাজী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। চরিত্র নিয়ে তিনি বলেন,‘কাজী চরিত্রটি এই এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে সে খুব বেশিভাবে জড়িত। সব জায়গায় তার কর্তৃত্ব আছে কিন্তু সেটা সে বোঝাতে চায় না। এর মধ্য দিয়ে ওই এলাকার রাজনীতি বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়।’

তারিক আনাম খান জানান, খুলনা অঞ্চলে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিন্তু তিনি কখনও সুন্দরবন দেখেননি। এবারই প্রথম তিনি সুন্দরবনের একদম ভেতরে গিয়ে শুটিং করেছেন। অভিনেতা বলেন,“আামার এলাকার জন্য ভাষার ব্যবহারেও আমার খুব আরাম লেগেছে। কিছু বিষয় কানে লেগে আছে। আমাকে দেখে অনেকে বলেছে, ‘উরে বাবারে আপনারে এতদিন পরে দেখলাম, সেই ছোট বেলায় দিখিছি। টেলিভিশনে দেখতি যাতাম ৫ মাইল দূরি। উরি আল্লাহ এ কি দেখতিছি, আপনারে একটু ছুঁয়ে দেখি।’ সাধারণ ভাষায় হৃদয়ের কথা বলে দিল, খুব ভালো লেগেছে আমার।”

চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে। সিরিজে তিনি একজন ফটোগ্রাফার। ফেউ–তে ইতিহাসের একটা ছায়া রয়েছে, প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেই ঘটনাগুলোর অনেক তথ্য সুনীল তার ক্যামেরায় ধরে রাখে বলে জানান চঞ্চল চৌধুরী।

চঞ্চল চৌধুরী তার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, “আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শিতের জামা–কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠাণ্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমিরসহ বিভিন্ন পশু–পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।”

মার্শাল চরিত্রে একদম অন্যরকম একটা লুকে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। চরিত্রটি ও সিরিজের জন্য দেড় বছর সময় নিয়েছেন তিনি। বলেন, “পরিচালক যখন এই গল্প এবং মার্শাল চরিত্রটা শোনায়, তখন এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম যে, চরিত্র অনুযায়ী প্রস্তুত হতে কতটা সময় লাগবে বা কী হবে সেসব মনেই আসেনি বা ভাবিনি। কাজটা সুন্দরবনে হয়েছে। সেখানকার একটা চরিত্রের শারীরিক ভাষা, দর্শন, আরও ডিটেইল কীভাবে করা যায় সেগুলোর প্রস্তুতি নিয়েছি। চুল–দাড়ি বড় করতে হয়েছিল। এটা তো দেখা যায় কিন্তু ভেতরে এক রকম প্রস্তুতি নিতে হয় যেটা দেখা যায় না।”

নূর ইমরান জানান, ‘ফেউ’–এর শুটিং অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। সুন্দরবনের এমন সব জায়গায় কাজ করতে হয়েছে, যেখানে কখনও শুটিং হয়নি। ওসব জায়গা আমাদের শুটিং উপযোগী করে প্রস্তুত করতে হয়েছে।’

১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে ‘ফেউ’ নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, সিদ্দিক আহমেদ। ইতিহাসের সঙ্গে নিজের দেখা চরিত্র, নিজের জানা ঘটনা, নিজের অঞ্চলের গল্প সিরিজে তুলে ধরেছেন বলে জানান নির্মাতা।

 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!