চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ দিয়ে পরিচিতি পাওয়া জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সাবরিনা পড়শীর গোপন বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে রবিবার। জানা যায়, গতবছরের ৪ এপ্রিল পারিবারিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নীলয়ের সঙ্গে তার কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। এরপর পড়শী তার ফ্যান পেজে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পাঠকদের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
পড়শী লিখেছেন, ‘‘আসসালামুআলাইকুম, আমি আপনাদের স্নেহের/ভালোবাসার পড়শী। ভেবেছিলাম সুখবরটা অনুষ্ঠানের সময় দারুণ সব ছবিসহ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করবো! তবে এর আগেই যেহেতু অনেক সাংবাদিক ভাই-বোন জানতে চাচ্ছেন এবং ফোন করছেন, তাই আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এখনই বিষয়টি শেয়ার করছি।
আমার জীবনসঙ্গীর নাম নীলয়। আজ থেকে ১৫ বছর আগে ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় আমাদের পরিচয় হয়। তবে প্রেম বলতে যা বোঝায়, আমাদের মধ্যে তেমন কোনও সম্পর্ক ছিল না। ‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে’ আল্লাহর হাতে, আর সেই ভাগ্যচক্রেই আমরা একে অপরের জীবনে এসেছি—এটি পুরোপুরি পারিবারিক সিদ্ধান্তে।
গত বছর ৪ মার্চ, ২০২৪ এ যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাত্র কিছু দিনের জন্য দেশে এসেছিল হামিম নীলয়। তখনই দুই পরিবারের সম্মতিতে আকদ্ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। যেহেতু আমরা দুইজন পৃথিবীর দুই প্রান্তে আছি এবং দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও প্রত্যাশার কথা ভেবে আমরা চেয়েছি সুন্দর সময়ে একটি অনুষ্ঠান করে বিষয়টি সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে। তবে সুখবরটি আগেই ছড়িয়ে পড়ায় আমি কিছুটা বিব্রত, তবে আনন্দিতও।
সব ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই নীলয় দেশে আসার কথা রয়েছে। তখন দুই পরিবারের আলোচনার ভিত্তিতে আমাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন হবে। ততদিন পর্যন্ত দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমাকে রাখবেন।’
পড়শীর স্বামী নীলয় একজন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ দিয়ে পরিচিতি পান সাবরিনা পড়শী ও নীলয় দুজনই। এরপর গানে গানে পেরিয়ে গেছে ১৬ বছর। পড়শীর ব্যস্ততা বেড়েছে গান ও অভিনয়ে। কিন্তু নীলয় ২০১০ সালে বাবা-মায়ের সাথে তাকে পাড়ি দিতে হয় সুদূর আমেরিকায়। সেখানেই স্থায়ী হন। ব্যস্ত হয়ে পড়েন পড়ালেখায়।
দেশ কিংবা নিজের চেনা পরিমণ্ডল ছেড়ে গেলেও সংগীত ছাড়েননি নিলয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করে গেছেন তিনি। স্টেজ শো কিংবা পারফর্ম না করলেও নিমগ্নচিত্রে গানের কথা লিখে গেছেন। শুধু তাই নয়, পরিবারের সমর্থন থাকায় নিউইয়র্কের সিটি কলেজে লেখাপড়া করেছেন মিউজিকের উপরেই।
আপনার মতামত লিখুন :