ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫

পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত সিলেট

মাহমুদ খান, সিলেট

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত সিলেট

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সিলেট জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত। পর্যটকেরা কোনোভাবে যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয় নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন।


প্রতি বছর ঈদের সময়ে সবুজের সমারোহ আর টিলা বেষ্টিত পাহাড়, শীতল জল কিংবা প্রকৃতি দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। এবার ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠবে বলে আশাবাদী পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা তৎপর থাকবেন।


জেলার হোটেল, মোটেল ও পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের হোটেলগুলোর অধিকাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ ছাড়া এখন পর্যায়ক্রমে অনেকেই বুকিং করছেন। বেড়েছে অনলাইন বুকিং।


সিলেট জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খালেদ আহমদ বলেন, ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে সিলেট ঘুরে দেখার জন্য অগ্রিম বুকিং করে রাখছেন। এ বছর হোটেলে অগ্রিম বুকিং বেড়েছে।


ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আশা করা যাচ্ছে এবার পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকব। সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লাখ খানেক পর্যটক হবে। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি জেলা পুলিশ পর্যটনকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। কোন পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয় নিশ্চিত করা হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় টুরিস্ট পুলিশ তাদের সাথে থাকবে।


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেটের মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলাতেই বেশির ভাগ পর্যটনকেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে জাফলং, মায়াবী ঝরনা, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছন্দে যাতে ঘুরে বেড়াতে পারেন, সে জন্য বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্থানীয় পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভা হয়েছে। 

 

সভায় পুলিশ প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবির প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে জাফলংয়ে বেড়াতে গিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে দোকানপাটের কারণে হাঁটাচলায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য পর্যটনকেন্দ্রের দোকানপাট অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া পর্যটনকেন্দ্রে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাবেন, পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় একটি দল প্রস্তুত থাকবে।

ঈদের ছুটিতে সাদা পাথর এলাকায় দর্শনার্থীদের ভীড়


সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায় তৎপর থাকবেন।


সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, সিলেটে পর্যটকদের বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যটকেরা যাতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ট্যুরিস্ট পুলিশকে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে এবং প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!