ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
মার্কিন নির্বাচন

এবার কমালাই জিতবেন: জেমস কারভিল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:২০ পিএম

এবার কমালাই জিতবেন: জেমস কারভিল

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিসকেই এগিয়ে রেখেছেন প্রবীণ মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জেমস কারভিল। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমালাই আংশিকভাবে এগিয়ে রয়েছেন। কেননা প্রচারণার কৌশলের দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে কমালাই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম দ্য হিল।

এতে বলা হয়, ৮০ বছর বয়সী কারভিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যাখ্যাদাতা। ১৯৯২ সালে হোয়াইট হাউসের দৌড়ে বিল ক্লিনটনকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল কারভিলের নীতিগত সমর্থন। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি এবং সবার আগে যিনি সরব হয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন কারভিল। শুরু থেকেই তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট খুবই বয়স্ক ব্যক্তি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ডেমোক্রেটরা বা জো বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করেছেন ততক্ষণ তিনি এ বিষয়ে বেশ সরব ছিলেন।

শুক্রবার এমএসএনবিসি-এর কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কারভিল বলেছেন, আমার মনে হয় সে (কমালা হ্যারিস) জিতবেন। কেননা তিনি এখন আরও অনেক বেশি অর্থ ও শক্তি পেয়েছেন। তার এখন একটি ঐক্যবদ্ধ দল রয়েছে।

অন্যদিকে ডনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে ‘স্টোন-অ্যাস নাটস’ বলেছেন কারভিল। এছাড়া কমালা হ্যারিসকে সমর্থন না করার জন্য কারভিল লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এবং ওয়াশিংটন পত্রিকার সমালোচনা করেছেন। পত্রিকা দুটিকে সমালোচনা করে কারভিল বলেছেন, আমি বলতে চাচ্ছি একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্য নয় জনের সঙ্গে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে বলবেন, ওহ! আমি এতে জড়াতে চাইনা, এটা নোংরা রাজনীতি। আসলে এসব বক্তব্য বিশ্বাস করার মতো না। 

কারভিল বর্তমানে উদারপন্থি আমেরিকান সুপার পিএসি এবং বিরোধী গবেষণা গ্রুপ আমেরিকান ব্রিজ ২১তম সেঞ্চুরির সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। কেন তিনি মনে করেন, যে কমালা হ্যারিসই এবার হোয়াইট হাউস জয় করবেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবীণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি শতভাগ আবেগি। এখন প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে যে, আমেরিকা গোত্রে গোত্রে বেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমি মনে করি এটি ভুল ধারণা।’

তিনি মনে করেন কট্টরপন্থী হোক বা উদারপন্থী, সকলের জন্যই ভোটের ব্যালট উন্মুক্ত, যার মাধ্যমে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!