ঢাকা শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
বলছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই, এটা ভারতও বিশ্বাস করে

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই, এটা ভারতও বিশ্বাস করে

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় অনেকেই সামনে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা।

তবে হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ আরও একবার উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও ধরনের ভূমিকা নেই, সেটা ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন।

হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে সাংবাদিকদের একটি নির্বাচিত দলের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

অবশ্য হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা নেই বলে আগেই জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। এমনকি বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ কেবলই মিথ্যা বলেও গত বছরের আগস্টে আখ্যায়িত করে দেশটি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পালাবদল ঘটেছে এই কয়েক মাস আগেই। সস্প্রতি দিল্লি সফর সম্পন্ন করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেছেন, ঢাকায় যা ঘটেছে, তার নেপথ্যে ওয়াশিংটনের হাত থাকতে পারে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং ভুয়া।
তিনি আরও বলেছেন, ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন না যে— বাংলাদেশের ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সংশ্লিষ্টতা আছে।

এর আগে হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গত বছরের আগস্টে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।”
মূলত গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পর ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়।

পত্রিকাটি সেসময় আরও বলেছিল, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!