ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ফের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার আবেদন

মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

ফের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার আবেদন

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

খুলনায় আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা আবেদন করা হয়েছে।  মামলার আবেদন করেছেন আন্দোলনে আহত পাইকগাছার মোঃ ইসমাইল হোসেনের পুত্র সোহাগ মালী। আবেদনে উল্লেখ করা হয়,  গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কারের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী যোক্তিক ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

এ পরিস্তিতিতে গত ২ আগষ্ট বিকালে বাদীসহ বৈয়মারিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও সাধারণ জনতা জিরোপয়েন্ট হইতে গল্লামারী বাজারের দিকে আসার চেষ্টা চালান। গল্লামারী বদ্ধভূমীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র আবদনে উল্লেখিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা  দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমাদের গতিরোধ করিয়া আমাদের উপর হামলাকরে ও গুলি বর্ষন শুরু করে। উপরোক্ত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা বাঁশ,হকস্টিক, রামদা, লাঠি দিয়া আমি সহ রাজীব, আলভি, ফয়সাল, মেহেদী, শাওন এবং সাধারণ ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী মারধর করে ও কুপিয়ে জখম করে। এতে আমার ডান পা ভেঙ্গে যায় এবং অন্যান্য ছাত্র জনতারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া গুরুতর আহত হয় এবং পঙ্গুত্ববরণ করেন। উপরোক্ত বিবাদীরা উক্ত স্থানে আমাদের উদ্দেশ্য করে অস্ত্র দিয়ে গুলি ফায়ার করে ও ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিতে থাকে।


আসামীদের ছোড়া গুলির বিবরণ এবং গনহত্যা চালানোর ঘৃণ চেষ্টার বিবরণ বিভিন্ন দেশীয় ওআন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। আমাদেরঅবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমি পাইকগাছা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করি এবং অন্যান্য আহত ভাত্ররা খুলনার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। আমার অবস্থার অবনতি হলে আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য নিউ মডার্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করি। 


আবেদনে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল, সাবেক সাংসদ এস এম কামাল, সালাম মোর্শেদী, আক্তারুজ্জামান বাবু, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল  খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল খোকন পাশা,  মোঃ মাকসুদ আলম খাজা, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল সুজন, খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মোঃ মাহফুজুর রহমান, হাফিজুর রহমান হাফিজ,  ইসমাইল, হিরা,  পলাশ, সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব, জেড এ মাহমুদ ডন, আনিছুর রহমান পপলু, বুলু বিশ্বাস, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, ইমদাদুল হক খালাসী, ডাঃ সিয়াম, মইনুল ইসলাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, সুজা, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, আলামিন ওরফে স্প্রেড আলামিন, রেজাউল হোসেন, কাজী শহিদুল ইসলাম ( পিটো মেম্বার ), মজিবর রহমান মোল্ল্যা, বাবর আলী, শেখ জালাল, শেখ ফরিদ, শেখ সজিব শেখ শোয়াইব,হোসেন আলী হাওলাদার, মোঃ সেলিম রেজা, আব্দুর রশিদ, রিপন হাওলাদার, কেএম রেজাউল আলম, আজিজুল হাসান অশ্রু, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস নাসির বাওয়ালী, মাহফুজা সাহাবুদ্দিন, মোল্লা আবুল কাশেম, এম এম আশিক আহমেদ, ফজলুর রহমান গাজী, আনিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, খানজাহানআলী থানা আওয়ামীলীগ, ঐশ্বর্য, লায়ন মাইন উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ ফয়সাল হোসেন, শফিক, রাজা মিনা, রবি, নাসির উদ্দিন,মোঃ আমজাদ হোসেন, বেনু মোল্লা, আব্দুস সালাম, জাহানারা শহিদ, মিনহাজ উদ্দিন, চাউলা দুলাল, রবিউল ইসলাম রবি, শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন, শিবু সাহানি,  নুরজাহান বেগম রানী, আব্দুর রশিদ, মাস্টার মনিরুল ইসলাম, মোঃ আশিক শেখ, মোঃ রুবেল শেখ, শাহাজাদা খান, মোঃ সেলিম রেজা, মোঃ রাসেল গাজী, আঃ মালেক গাজী, ইসমাইল আদম টুটুল, জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। রফিকুল ইসলাম, পরশসহ আরো অন্তত ৩০০-৫০০ জন এই গুলির ঘটনা এবং গনহত্যা চালানোর ঘৃন্য পরিকল্পনার সাথে যুক্ত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সাংবাদিকদের মধ্য নাম রয়েছে, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন মিন্টু, বাবুল আক্তার, সাহেব আলী, মল্লিক সুধাংশু,  মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ ও আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!