ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং একাধিক সংগঠন। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করে ছয়দফা দাবি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সোমবার রাত ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য সিনথিয়া জাহিন আয়েশা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট জাহিদ আহসান বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে খেলা হবে সমানে সমান। কোনো রাজা-প্রজার সম্পর্ক থাকবে না। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল
একই ঘটনায় মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ৷ সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, নির্বাচনের আগে ভারত আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছিল। এখন তারা শেখ হাসিনাসহ সাথী-সঙ্গীদের জায়গা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এখন দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে। একদিকে আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে অন্যদিকে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে। আমরা বারবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু সরকার তা করেননি।
মমতা ব্যানার্জীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিজের চরকায় তেল দেন। আপনার দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনারা জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ কী না, তা নিয়েও আমি প্রশ্ন রাখতে চাই।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা তো বিপ্লবী সরকার চেয়েছিলাম, তাহলে কীভাবে এরকম একটি সরকার গঠিত হলো। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যারা আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে যারা নেতা হয়ে উঠেছেন এবং উপদেষ্টাদের কথায় মিল পাওয়া যাচ্ছে না
আপনার মতামত লিখুন :