ঢাকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২০২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত থাকছে না সরকারি সাত কলেজ। এরফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে ৭ কলেজের ভর্তি পরীক্ষাও ২০২৪-২৫ সেশন থেকে বন্ধ হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ নিয়াজ আহমেদ খান।

এদিন বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ নিয়াজ আহমেদের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সভা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষগণ সভায় অংশ নেন।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সকালে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের দায় নিয়ে ঢাবি প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি মেনে নিতে চার ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দেয় তারা। বিকেল চারটার মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলো শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন। উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

রাত তিনটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাত তিনটার দিকে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!