চার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দেয়ায় স্বস্তি রাজনৈতিক দলগুলোর। প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাকিগুলো নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া, সংস্কার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
সংবিধান, নির্বাচন, দুদক ও পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে। সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাবনা তৈরি করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির প্রেস উইং থেকে এ বার্তা পাঠানো হয়।
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়ার পরপরই আজ প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি। বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকলেও সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতিতে খুশি দলটি ।
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান রূপান্তর বা সংস্কার জরুরি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে একধাপ এগিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজনীতির মাঠে ভিন্ন সুরে বক্তব্য চালাচালি হলেও, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইস্যুতে জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান বলেন ‘নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার ততটুকু হওয়া উচিত। এর বাইরে কোনো সংস্কার না করার পক্ষে আমরা। সামনে একটা ভালো নির্বাচন হবে। তখনই নির্বাচিত সরকার সংবিধান সংস্কার করার ব্যাপারে কমিশন যেসব প্রস্তাব পেশ করছে সেটা ভালোমত মেরামত করতে পারবে।’
জাগ্রত পার্টির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ।আর প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাকিগুলো নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাওরানবাজার জাগ্রত পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে বলেন, ‘ঐক্যমত সৃষ্টির পর যেগুলো নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করতে হবে। আর যেগুলোতে জনপ্রতিনিধি দরকার সেগুলো নির্বাচনের পর সংস্কার করতে হবে।
দলীয় স্বার্থ ছাড় দিয়ে হলেও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির ।
সংগঠনটির মুখপাত্র প্রেস এন্ড মিডিয়া উইংসের দায়ীত্বপ্রাপ্ত কাজী শামসুল ইসলাম বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল জনগণের বড় আকাঙ্ক্ষাকে রিপ্রেজেন্ট করে। সেই জায়গা থেকে দলগত কোনো স্বার্থের ব্যাপার থাকে, সেটাকে কম্প্রোমাইজ করে তাহলে সবার জন্যই ভালো হবে। যারা অভ্যুত্থানকারী শক্তি রয়েছে তাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য এটা একটা সুযোগ তৈরি করে দিবে।
আপনার মতামত লিখুন :