ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে চলমান জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লং মার্চ পথে পথে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে। ঢাকা টু আখাউড়া লং মার্চকে স্বাগত জানাতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পথের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের তারা স্বাগত জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও গাড়ি থেকে হাত নেড়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দিচ্ছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ লং মার্চ শুরু হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই লং মার্চের উদ্বোধন করেন।
নেতাকর্মীদের হাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি, প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। পথের দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী প্রতিবাদী স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠছে মোড়গুলো। একইসঙ্গে স্থানীয় নেতাদের নামেও স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় অনেক নেতাকর্মীর হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নাম উল্লেখিত বিভিন্ন স্লোগানের প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু ওরা চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব- এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেবো? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব?’
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এই লং মার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
লং মার্চটি ফকিরাপুল, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভার, সাইনবোর্ড-চিটাগাং রোড, কাঁচপুর মোড়-তারাবো বরফা-ভুলতা গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব ভেলানগর ইটাখোলা-মরজাল হয়ে বারুইচা রুটে যাচ্ছে। ভৈরবে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। লং মার্চটি আখাউড়া স্থলবন্দর গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :