উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য আজ রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি।
তবে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে রাজধানীর গুলশান-২, বনানী, খিলক্ষেত, উত্তরা ও বিমানবন্দর পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল রাজধানীর এই অংশটুকু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
তুরাগ এলাকা থেকে আসা তুরাগ থানাধীন ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫২নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,`শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আক্রোশ থেকে প্রিয় নেত্রী এখন মুক্ত বাতাসে। কিন্তু মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত সরাসরি ওনার দেখা হয়নি। প্রিয় নেত্রী যেন চিকিৎসা শেষে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এই দোয়া করি। `
তিনি আরও বলেন, `আপনারা জানেন দীর্ঘ ৭ বছর পর নিজ সন্তানকে হাতে ছুয়ে দেখবেন আমাদের আপোষহীন নেত্রী। তাই বিকেল থেকেই আমরা বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিদায় দিতে এসেছি। চিকিৎসা শেষে খুব দ্রুতই আবার আমাদের মাঝে ফিরবেন বলে আশা রাখছি।`
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত হবেন এবং রাত ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। তবে তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানাতে বিকেল থেকেই গুলশানে বাসার সামনে দফায় দফায় মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর সফরের মধ্যে দিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হতে যাচ্ছে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের।
চিকিৎসা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসবেন বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী এবং লন্ডন বিএনপির নেতারা। বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে তার চিকিৎসা চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :