ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

আমার নামের সঙ্গে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না: তারেক রহমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৭:২১ পিএম

আমার নামের সঙ্গে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না: তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, দয়া করে আমার নামের সঙ্গে কেউ দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক জাতীয় শব্দ ব্যবহার করবেন না।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‍‍`জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ জনগণেরর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এরজন্য ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে, ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা তৈরি হয়।‍‍`


মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত ‍‍`রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি‍‍` শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‍‍`বিএনপি এমন একটি দল যারা অতীতে দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে হয়নি। আমরা সবাই জানি, অনেকেই বলেছেন বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারলে, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করতে পারলে, আগামী দিনে বিএনপিই সরকার গঠন করবে।‍‍`

তিনি বলেন, ‍‍`এটা নির্ভর করছে দলের নেতাকর্মীদের ওপর। আমাদের এই ৩১ দফা হলো ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব, তার রূপরেখা। এটা প্রথমে ছিল ২৭ দফা। পরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল শরিক ছিল, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, এটা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব দলের সম্মিলিত চিন্তার ফসল।‍‍`

‍‍`অনেকেই অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ-জাতি নিয়ে চিন্তা বহু আগে থেকে করছি। যখন কেউ চিন্তাই করেনি, সেসময় দেশের মানুষের সামনে ২৭ দফা ও পরে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে। আমরা বারবার বলেছি, ভালো প্রস্তাবনা এলে ৩১ দফার সঙ্গে গ্রহণ করা যাবে,‍‍` যোগ করেন তিনি।


ভার্চুয়াল বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‍‍`এই ৩১ দফাকে দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।  জনসভা করে নয়, ছোট ছোট উঠান বৈঠক করে গ্রামে গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে জানাব।‍‍`


‍‍`আমি কয়েকদিন আগে এক বক্তব্যে বলেছিলাম, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে তাহলে যেই সংস্কার করি, কাজে লাগবে না,‍‍` বলেন তিনি।        

তিনি বলেন, ‍‍`জনগণের কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, ভোট প্রদানের অধিকারের জন্য আমাদের হাজারো সহকর্মী গুম হয়েছেন, খুন হয়েছে। ৬০ লাখের বেশি মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছেন আমাদের নেতাকর্মী। আমরা এই যুদ্ধ করছি বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কাজেই আমাদের যেকোনো মূল্যে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে।‍‍`

‍‍`তাই আমরা একটি কথা বলছি ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আপনারা নিশ্চয় গত কয়েকদিনের পত্রিকার, বিভিন্ন খবর অবগত। রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ, আপনারা পোড় খাওয়া প্রত্যেকটি মানুষ। কাজেই আপনারা নিশ্চয় বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন যে কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণের সাথে থাকতে হবে,‍‍` যোগ করেন তিনি।

সবশেষে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‍‍`সহকর্মী হিসাবে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ ও নেতা হিসেবে আপনাদের কাছে নির্দেশ যে, আজকের পর থেকে দয়া করে আমার নাম যখন কেউ বলবেন, দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক এই কথাগুলো কথাগুলো দয়া করে কেউ ব্যবহার করবেন না।‍‍`

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!