একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের সাংবাদিক পীর জুবায়েরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে দৈনিক সুনামকণ্ঠে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) পীর জুবায়ের তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে রাজাকার নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তার সেই পোস্টে জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের আজাদ মাওলানার ভাতিজা আব্দুল খালিকের ছেলে মামুন আহমদসহ আরও বেশ কয়েকজন কমেন্ট বক্সে এবং আলাদা ফেসবুক আইডি থেকে তাকে এবং তার পরিবার নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন। যেগুলোর ছবি বর্তমান বাংলাদেশের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করেন।
সাংবাদিক পীর জুবায়ের বর্তমান বাংলাদেশকে বলেন, “আমি আমার পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করিনি। তাছাড়া আজাদ মাওলানার নাম জেলার অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বজলুল মজিদ খসরু ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ প্রকাশিত বইয়ে রাজাকারের নামগুলোর মধ্যে রয়েছে। এ বইয়ের ২০৪ পৃষ্ঠার ৩৮ নম্বর সিরিয়ালে আজাদ মিয়া, পিতা আনফর আলি রাজাকার হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বইয়ের রাজাকারদের নামের তালিকা অনুযায়ী তিনি রাজাকারে পরিচয় থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগের বেশে দাপটের সাথে চলাফেরা করেন।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার রাজাকারদের তালিকা তৈরি করলেও রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলের সুযোগ সুবিদায় সে বারবার সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে এলাকায় তিনি একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সেজন্য তার নাম নিয়ে পোস্ট করতে সাহস হয়নি। তবুও তার দলবলের হুমকি থেকে রেহাই পাইনি আমি। প্রাণ নাশের হুমকি পেয়ে আমি প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরানুল হক চৌধীরে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, "যে বা যারা ফেসবুকে হুমকি প্রদান করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। আমরা আশা করবো খুব দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।"
জানতে চাইলে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বর্তমান বাংলাদেশকে বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসার পর তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :