ঝিনাইদহের সরকারি ও বে সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন ব্যবস্থা নেই। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা হয়। এতে পরিবেশ দুষন ঘটে। বছরের পর বছর ধরে এভাবে হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোর মেডিকেল বর্জ্য ফেলা হয়ে আসছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালেও মেডিকেল বর্জ্য সিভিল সার্জন অফিসের সামনে একটি খোলা জায়গাতে ফেলা হয়। এ বর্জৗ কুকুর বা পাখিকে ছিটায়। দুর্গন্ধ ছড়ায়। পরিবেশ দুষণ ঘটছে। এ বর্জের ভিতর থাকে ব্যবহৃত গজ ব্যান্ডে, আপারেশনের পর রোগির রক্ত পুঁজ ও অন্যান্য জিনিষ। যা রোগব্যাধি ছড়ায়। কয়েক দিন পর পর এ বর্জ্য পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মিরা এসে নিয়ে যায়। শহরের কোন কোন হাসপাতাল ও ক্লিনিক মেডিকেল বর্জ্য রাস্তার উপর ফেলে রাখে। ভোরে পাখি কাক এসে ছিটায়। পরে পৌরসভার পরিছন্নতা কর্মীরা এসে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত মেডিকেল বর্জ্য ব্যাপস্থপনা নেই। নতুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে চালু হবে। জেরায় ৫টি উপজেলাতে সরকারি হাসপাতাল আছে। একটিত্ওে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থানাগার নেই। হাসপাতাল কম্পাউন্ডের একপাশে গর্তের ভিতর বা ডাষ্টবিনের মধ্যে ফেলা হয়। খোলা অবস্থায় পড়ে থাকে। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কের ভিতর আবাসিক এলাকায় ডাষ্টবিনে মেডিকেল বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়। ঝিনাইদহ শহরের বড় প্রাইভেট হাসপাতাল শামিমা ক্লিনিকের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগার নেই। ক্লিনিকের মালিক ডাঃ শামিমা সুলতানা বলেন, হাসপাতাল ভবনের পিছনে ফাকা জায়গা আছে। সেখানে ফেলা হয়। পৌর সভার পরিছন্নতা কর্মীরা কয়েক দিন পরপর নিয়ে যায়। শহরের সব গুলো প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের একই অবস্থা।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, জেলার সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগার নেই। যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়। তার এব্যাপারে কিছু করনীয় নেই। এসব বর্জ্যরে সংস্পর্শে এলে রোগ ব্যাধি ছড়ায়। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ফুটে গেলে রোগ ছড়াতে পারে। মানুষের মেডিকেল বর্জ্যরে ব্যাপারে কোন সচেতনতা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :