চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু নিয়ে কম জটিলতা হয়নি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি অবস্থানে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ানো নিয়েই চরম অনিশ্চয়তা ছিল। দেশ দুটি শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে সায় দিলেও, নতুন করে বাগড়া বসিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
সাধারণত প্রতিযোগী প্রতিটি দলের জার্সিতে থাকে আয়োজক দেশের নাম। সে হিসেবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানের নাম থাকার কথা, নিজেদের জার্সিতে সেটাই রাখতে চাচ্ছিল না ভারত। যা নিয়ে পাকিস্তানের কড়া প্রতিবাদের মুখে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এবার সুর নরম করেছে ভারতও। সেই সঙ্গে ভারতের জার্সি ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগো নিয়ে বিতর্কেরও অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিসিআইয়ের নবনিযুক্ত সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছেন, ‘আইসিসির নির্দেশিকা যাই হোক না কেন আমরা তা অনুসরণ করব।’
আইসিসির অফিসিয়াল লোগোর নীচে পাকিস্তান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলে, সাইকিয়া পুনরুল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আইসিসির নির্দেশনা অনুসরণ করব।’
এদিকে, শোনা যাচ্ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়তো পাকিস্তানে যেতে হতে পারে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। সেই নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল পাকিস্তান বোর্ডও। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রোহিত পাকিস্তানে যাবেন কি না বিষয়টি নিশ্চিত করেননি সাইকিয়া।
১৯৯৬ সালের পর আবারও পাকিস্তান তৈরি হচ্ছে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনে। বেশ জলঘোলা করেই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করছে পাকিস্তান। ভারতের আপত্তিতে কদিন আগেও অনিশ্চিত ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের তিন ভেন্যু ও দুবাইয়ে হবে টুর্নামেন্ট। তবে আয়োজক সত্ত্ব পাকিস্তানের হাতেই থাকছে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠবে। মেগা এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তানের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটিও হবে দুবাইতে। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ভারত আসর শুরু করবে।
আপনার মতামত লিখুন :