সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরকার কিছুটা সরে এসেছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বলতে গেলে বিশাল সুযোগ। তবে নভেম্বর মাস একটু ব্যতিক্রম। এ মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকছেই। এ থেকে একচুলও ছাড় দিচ্ছে না সরকার।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে তা ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি এ ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে পর্যটকরা, কিন্তু রাতে থাকতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাতে থাকতে পারলেও তার সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকবে। সর্বোচ্চ ২ হাজার জন দ্বীপটিতে থাকতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে পুরোপুরি পর্যটন বন্ধ থাকবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এর আগে, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে।
৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবদুল হামিদ।
আপনার মতামত লিখুন :